রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আলোকিত রাঙ্গামাটি ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৭:২৯, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০

নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে গুলিবিনিময়

অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী আটক

অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ সন্ত্রাসী আটক

ব্রেকিংঃ- আজ আনুমানিক বেলা দুই টায় খাগড়াছড়ির ভাইবোনছড়ায় ইউপিডিএফ (মূল) দলের আনুমানিক ৪ থেকে ৫ জনের একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়।

খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের আওতাধীন খাগড়াছড়ি সদর জোনের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি গুলি বর্ষন শুরু করে।

নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা জবাবে সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে ঘটনাস্থলে সুভাষ চাকমা (৩৩) নামের আহত এক সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে একটি শর্টগান, ২৩ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ২৪ রাউন্ড ৭.৬২ মিমি গুলি এবং একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।

এই প্রতিবেদন তৈরির সময়  আহত সন্ত্রাসী কে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর পুলিশের কাছে হস্থান্তরের  প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য, পাহাড়ে শান্তিচুক্তির দীর্ঘ সময় পরেও সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর তৎপরতা ও তাদের নিকট হতে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধারকৃত অস্ত্র দেখলে বোঝা  যায় পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের নিকট কি পরিমাণ অস্ত্র জমা আছে। এসব অস্ত্র কেনার টাকা ও কোন পথে অস্ত্র আসে তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা কথা শোনা যায়। কথিত আছে, পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অস্ত্র যোগান দাতা পাহাড়ে চলমান বিভিন্ন বিদেশী এনজিও সংস্থা। আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত ও মায়ানমার দিয়েই এসব অস্ত্রের চালান হয় বলে জনশ্রুতি আছে। সন্ত্রাসীদের নিকট হতে অস্ত্র উদ্ধারের বিভিন্ন ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করে পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে। কারণ সাধারণ পাহাড়িরা এই সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি। বর্তমান সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন পার্বত্য চট্টগ্রামকে। এই অঞ্চলের উন্নয়নে সরকারের আন্তরিকতার কোন ঘাটতি নেই। কিন্তু পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের কারণে পাহাড়ের সাধারণ মানুষ কাঙ্ক্ষিত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কিছুদিন যেতে না যেতেই আমরা শুনতে পাই, অমুক গ্রুপের এক নেতা কিংবা কর্মীকে ডেকে নিয়ে ব্রাশ ফায়ার করেছে ওমুক গ্রুপের সন্ত্রাসীরা। এই পাহাড়ি সন্ত্রাসীরা এতটাই উগ্র যে, এদের ভয়ে মুখ খুলতে ভয় পায় সাধারণ পাহাড়িরা। 

পাহাড়ের মানুষদের দীর্ঘ দিনের দাবি, পাহাড়ে র‍্যাবের ইউনিট গঠন করা হোক। সরকার ইতিমধ্যে একবার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বটে। কিন্তু এই উগ্রবাদী সন্ত্রাসীরা নিজেদের আদিপত্য ধরে রাখতে ক্রমাগত ভয় দেখিয়ে আসছে পাহাড়ের মানুষদের। বলা হচ্ছে র‍্যাব ইউনিটের বিরোধিতা না করলে ঘরে ঘরে লাশ পড়বে। এমতাবস্থায় কোথায় যাবে সাধারণ পাহাড়িরা? নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি, যত শীঘ্রই র‍্যাব ইউনিট গঠন করা যাবে, ততই এই অঞ্চলের জন্য মঙ্গল।

আলোকিত রাঙামাটি