রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:৩৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

আজ শুভ মহালয়া

আজ শুভ মহালয়া

ফাইল ফটো


হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া আজ। এদিন দেবীপক্ষের শুরু। দেবীর আরাধনা সূচিত হয় মহালয়া উদযাপনের মাধ্যমে। মূলত দুর্গাপূজার ক্ষণগণনাও শুরু এদিন থেকেই।

হিন্দু ধর্মমতে, মহালয়ায় দেব-দেবীকুল দুর্গাপূজার জন্য নিজেদের জাগ্রত করেন। এদিন অতি প্রত্যুষে মন্দিরে মন্দিরে চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে আহ্বান করা হয়। 

প্রতি বছর মহালয়ার সাতদিন পর দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটলেও এবার এর ব্যতিক্রম ঘটছে। এ বছর মহালয়ার এক মাস পাঁচ দিন পর আগামী ২২ অক্টোবর থেকে পাঁচ দিনব্যাপী দুর্গোৎসব শুরু হবে।

এর কারণ হিসেবে হিন্দু শাস্ত্রবিদরা জানিয়েছেন, ধর্মীয় রীতিনীতির কারণে দুর্গোৎসব শুরুর মাস আশ্বিন এ বছর ‘মলো মাস’ তথা ‘অশুভ মাস’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যার কারণে আশ্বিনের বদলে এবারের দুর্গাপূজা শুরু হবে কার্তিক মাসে, যা তিথি ও ক্ষণ অনুযায়ী আগামী ২২ অক্টোবর পড়েছে।

মূলত বৃহস্পতিবার মহালয়ার দিন থেকেই কানে অনুরণিত হবে দেবী দুর্গার আগমনধ্বনি। সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার দোলায় (পালকি) চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে (পৃথিবী) আসবেন (আগমন)। যার ফল হচ্ছে মড়ক। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ ও মহামারির প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে। দেবী স্বর্গলোকে বিদায় (গমন) নেবেন গজে (হাতি) চড়ে। যার ফল হিসেবে বসুন্ধরা শস্যপূর্ণ হয়ে উঠবে।

এ বছরের দুর্গাপূজার নির্ঘণ্ট অনুযায়ী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠীতে দশভুজা দেবী দুর্গার আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যদিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা। অবশ্য আগের দিন ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দেবীর আগমনধ্বনি অনুরণিত হতে শুরু করবে। ২৩ অক্টোবর মহাসপ্তমী, ২৪ অক্টোবর মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা এবং ২৫ অক্টোবর মহানবমী শেষে ২৬ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব।

সকাল ছয়টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার।

মহালয়া উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলোতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। বেতার-টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার এবং সংবাদপত্রে বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করা হবে।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়