রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:০৪, ২৬ জুলাই ২০২০

‘আসুন, মানুষকে ভালোবেসে পরিচিত হই’

‘আসুন, মানুষকে ভালোবেসে পরিচিত হই’

পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন আইজিপি।


আইজিপি ড. বেনজীর আহ‌মেদ সর্বস্তরের পুলিশের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন,‌ আসুন, আমরা আমাদের কাজ দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হই, আমাদের দক্ষতা দিয়ে পরিচিত হই, মানুষকে ভালোবেসে পরিচিত হই। আমরা দেশের কল্যাণে জনগণের জন্য নিজেদের উৎসর্গ করি।

শনিবার পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কৃষ্ণচূড়া সম্মেলন কক্ষে আইজিপির শততম দিনে জনগণের পুলিশ বিনির্মাণের পথে অগ্রগতি সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আইজিপি বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের এক বা একাধিক লক্ষ্য থাকে। লক্ষ্যবিহীন কোনো প্রতিষ্ঠান সম্মুখের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না। আমরা বর্তমানে ২০২০ সালে আছি। আগামী ৫, ১০, ৫০ ও ১০০ বছর পরে পু‌লি‌শিং কেমন হ‌তে পা‌রে, তা বি‌বেচনায় রে‌খে বর্তমা‌নের পু‌লি‌শিং‌ ব্যবস্থাকে ঢে‌লে সাজা‌তে হ‌বে। এসব বিষয়া‌দি মাথায় নি‌য়েই ‌বিগত একশ দি‌নে বি‌ভিন্ন স্বল্প এবং দীর্ঘ‌মেয়াদী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ক‌রে তা অর্জ‌নের জন্য নানমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হ‌য়ে‌ছে। 

তিনি ব‌লেন, মাদক, দুর্নী‌তি ও নিপীড়‌নের বিরু‌দ্ধে ক‌ঠোর অবস্থান গ্রহ‌ণ, পু‌লিশ সদস্যদের কল্যাণ ও শৃঙ্খলার বিষ‌য়ে অধিক ম‌নো‌যোগ দিতে হবে। জনগ‌ণের দোর‌গোড়ায় পু‌লিশ‌কে নি‌য়ে যে‌তে বিট পু‌লি‌শিং সেবা বেগবান করার মাধ্য‌মে রূপকল্প ২০৪১ এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জ‌নে গুরুত্বপূর্ণ ভূ‌মিকা রাখ‌বে বাংলা‌দেশ পু‌লিশ।

আইজিপি বলেন, অর্থবহ পরিবর্তন করতে হলে আমাদের সবাইকে মিলে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এর ফলে দেশ ও জনগণ উপকৃত হবে। 

পুলিশ প্রধান বলেন,  আমারা গত ১০০ দিনে অনেক টার্গেট ফিক্স করেছি। এ টার্গেট অর্জন করতে হলে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা যা করছি দেশের জন্য, জনগণের জন্য এবং পুলিশের জন্য করছি।

প্রসঙ্গত, বিগত ১০০ দিনে গৃহীত উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্তকরণ, গোয়েন্দা তথ্য নির্ভর শিল্প পুলিশ গড়ে তোলা, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ ভবন নির্মাণ, এপিবিএন এবং এসপিবিএন এর জন্য আলাদাভাবে  জনবল নিয়োগ, সিআইডিতে ডিএনএ ডাটাবেজ ব্যাংক স্থাপন, যৌক্তিক দূরত্বে হাইওয়ে পুলিশ স্টেশন এবং আউটপোস্ট স্থাপন, নৌ পুলিশের আউটপোস্ট স্থাপনের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, সুন্দরবনে নৌ পুলিশের চারটি ক্যাম্প স্থাপন, পিবিআই কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ ত্বরান্বিতকরণ, পুলিশ মেডিকেল সার্ভিসেস গঠনের প্রস্তাবকরণ,  ঢাকা ডিভিশনাল পুলিশ হাসপাতাল স্থাপন, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে বিশেষায়িত হাসপাতালে পরিণতকরণ, ট্যুরিস্ট পুলিশের জন্য আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন, পুলিশ অফিসারদের জন্য মাসিক পারফরমেন্স রিপোর্ট চালুকরণ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে আধুনিক ডিজিটালাইজড কন্ট্রোল রুম স্থাপন, সীমিত সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, পুলিশের পূর্ত কাজের পলিসি গাইডলাইন প্রণয়ন, দায়িত্ব পালনকালে স্মল আর্মস ব্যবহার প্রবর্তন, সব পর্যায়ের অফিসার এবং ফোর্সের জন্য রিফ্রেশমেন্ট ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থাকরণ, আটটি বিভাগীয় শহরে পুলিশের সন্তানদের জন্য আটটি রেসিডেন্সিয়াল স্কুল স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাইকরণ ইত্যাদি।

এছাড়া বরিশাল জামালপুর এবং গোপালগঞ্জে তিনটি নতুন ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন। এর মধ্যে গোপালগঞ্জে হবে নারীদের ট্রেনিং সেন্টার।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান এবং পুলিশ হেডকোয়ার্টারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আলোকিত রাঙামাটি