কেনো এই আত্মহত্যা?
আলোকিত রাঙামাটি
প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৮

কিশোর কিশোরীদের শরীর মৌন সম্মতিতে যখন যৌবন আসে তখন প্রেমও উপলব্দি শুরু করে। যখন প্রেম আসে তখন কাউকে না কাউকে ভালো লাগতে শুরু করে। একচ্যুয়াল সেটা মৌন চাহিদা মনে হলেও প্রকৃত অর্থে তা শরীরের চাহিদা। আবার অপরদিক থেকে বিপরীত লিঙ্গের মানুষটিও ভালো লাগাতে শুরু করে। এমন বয়সন্ধিকালে অভিভাবক যদি তাদের আচরন আমলে না নিয়ে তাদের মনের বিরুদ্ধাচরণ করে তখনও আত্মহত্যা করতে খুব সাহস জেগে যায়। এ অবস্থায় কিন্তু আত্মহত্যার জন্য দারুন ইচ্ছে জাগে। কারণ মৃত্যুর পর তার জন্য সবাই কাঁদবে। ভূল বুঝতে পারবে। প্রেমিক বা প্রেমিকার প্রতি কতটুকু ভালোবাসা ছিল এ ভেবে কাঁদবে আহাজারী করবে। একটা সময় সে আত্মহত্যার জন্য দারুন সিদ্ধান্তে উপনিত হয়ে পরে। ঠিক তখন পেচন থেকে কেউ তাকে উৎসাহ দিতে থাকে। হয় বাঁচে নয় গেছে।
আত্মহত্যার নজির নেই এমন কোন দেশ নেই। আত্মহত্যা নিয়ে গবেষকদের চুলছেড়া বিচার বিশ্লেষন শেষেও এর পেছনে রয়ে যায় অজানা রহস্য। আমার উপজেলা কাউখালীর বেতবুনিয়ায় বেশ কটি সংগঠিত আত্মহত্যা খুব কাছ থেকে অনুভব করেছি। তম্মধ্যে মেয়েদেরই বেশি লাশ দেখেছি। ব্যপারগুলো নিয়ে আমি বেশ লেখালেখিও করেছি। সেখানে কয়েকটি আত্মহত্যার কারণ হিসেবে আমি কিছু ব্যাপার নিশ্চিত করেছি। যার মধ্যে সংসারে বোঝাপড়ার সংকীর্ণতা বেশি হয়। বাঙ্গালী মূলত আবেগপ্রবন। গ্রামের মানুষগুলো আরো বেশি আবেগ বহন করে চলে। সংসারে যখন আবেগ নিয়ে খেলা চলে তখনই কেউ না কেউ হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেয় আত্মহত্যার। যেখানে বেশিরভাগ মানুষ আত্মহত্যা করতে সাহস করে না বা নিজের থেকে সাহস পায় না। একটা সময় যখন মাত্রাতিরিক্ত স্নায়ুচাপ হয়। তখন চোখে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোন পথ দেখা যায় না। যেমন ধরুন; গ্রামের অধিকাংশ মানুষ ঋণের বোঝা বহন করে চলে। তম্মধ্যে এনজিও সংস্থাগুলোর চাপ। এনজিও সংস্থার অবস্থা কিছুটা আমি জানি। মনে হয় যেন বৃটিশ এক শোষন করে গেল আর এনজিও রা আরেক শোষন করে যাচ্ছে। তাদের কর্মীদের বলার ধরণ বা চাপ সৃষ্টির ধরণ খুব কঠিন। এ কঠিনত্ব গ্রামের মানুষ সহ্য করতে পারে না। মানুষগুলো কঠিনত্ব বোঝে না। টাকা নেই, আয় নেই, কোন পথও নেই। ব্যস একটাই পথ আত্মহত্যা। এখানে আত্মহত্যা কিন্তু একজন করেনি। সাথে সাথে মানুষের মানবিক মূল্যবোধও আত্মহত্যা করে।
আমার এলাকায় এমনও দেখেছি মেয়ে শশুরবাড়ীতেও আত্মহত্যা করেছে। এখানে কোন সন্দেহ নেই সে শশুরবাড়ীতে কারো না কারো দ্বারা মানসিক চাপে ছিলো। এখানে একটি বিষয় হচ্ছে শাশুরি বৌটাকে কাজের মেয়ে ছাড়া নিজের মেয়ে ভাবতে পারে না। বৌটাও শাশুড়িকে মা হিসেবে মেনে নিতে পারে না। যারা মেনে নিতে পেরেছে তাদের সংসার সোনায় সোহাগা হয়েছে।
কিছুদিন আগেও বেতবুনিয়া মাষ্টারঘোনায় রাউজানের একটি মেয়ের ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গিয়েছে। যেটি আত্মহত্যা বলে ডায়েরী করা হয়েছে। তবে আমার সেটা মনে হয়নি। এভাবে অনেক আত্মহত্যা কিন্তু ইচ্ছের বিরুদ্ধেও হয়। কিছু কিছু ধরন আত্মহত্যা বলে ধারনা করা হলেও সেটি মূলত আত্মহত্যা ছিল না।
শুধু মানুষ আত্মহত্যা করে তা নয়। পাখিরাও আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যা করে মাছ। এভাবে অনেক নজির আছে মানুষ ছাড়াও অনেক প্রাণি আত্মহত্যা করেছে। অবাক হবার কিছু নেই। প্রতিনিয়ত প্রানি আত্মহত্যা করে। পাখিরা যখন তুমুল ঝগড়া করে তখন তাদের পাশে মানুষ থাকলেও ভয় পায় না। আমিও একবার দুটি চড়ুই ধরেছিলাম ঝগড়া করার সময়। এত রাগ!
জাপানের আওকিগাহারা জঙ্গলে বছরে ২৪৬জন পর্যন্ত মানুষ আত্মহত্যা করেছে। ওখানে ভেবে চিন্তে আত্মহত্যা করা যায় বলে এটি আত্মহত্যা জঙ্গল নামে পরিচিত। তবে শেষ কথা হচ্ছে-যে মানুষটি আত্মহত্যা করছে সে যখন আত্মহত্যার সংগঠিত করেছে ঠিক তখনও সে বাঁচতে চেষ্টা করে। শেষ নিশ্বাসের আগেও সে বাঁচতে চেষ্টা করে এই ভেবে যে; সে তখনই বুঝতে পারে সে ভূল করেছে।
আমার কথা হলো বেঁচে থাকুন। নিজের জন্য হলেও। আপনার এখন একটি নাম আছে। মারা গেলে আপনার নাম হবে লাশ। মৃত লাশ কিছুই করতে পারে না। না কিছু উপলব্দি বা না নিতে পারে কোন প্রতিশোধ। বেঁচে থাকুন। প্রাণ ভরে সবুজের নিশ্বাস নিন।
লেখাঃ- সালাহ উদ্দীন মাহমুদ আরিফ

- রাঙামাটির বিলাইছড়িতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৭ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
- মেয়র পদে ৫, কাউন্সিলর ৪৩ ও কাউন্সিলার ২০ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা
- তামাকের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের
- রাঙামাটিতে জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত
- ৩ সন্তান প্রতিবন্ধী, স্ত্রী পাগল ও অসুস্থ মাকে নিয়ে মানবেতর জীবন
- জঙ্গিবাদের শেষ শেকড় উপড়ে ফেলতে চাই: আইজিপি
- লেভেল ক্রসিংয়ে আর মৃত্যু নয়
- পথচারীদের হাঁটাকে সহজ করে দিচ্ছে ডিএনসিসি
- আরেকটি স্বপ্ন পূরণের পথে
- ‘২০২১ সালে ৯০ ভাগ সরকারি সেবা ডিজিটালাইজড করা হবে’
- প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আয়োজিত প্রদর্শনী দেখলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
- পৌর ভোটের মাঠচিত্র
নিরঙ্কুশ বিজয়ে আওয়ামী লীগ - ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে ওজন মাপার যন্ত্রে সাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা
- কাপ্তাই উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাঈন উদ্দীনকে অব্যাহতি
- কাপ্তাইয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের বিদায় ও বরণ সংবর্ধনা
- কারিগরি শিক্ষায় ভাতের অভাব হয় না : প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ
- ২০২১ সালের মধ্যে আইসিটিতে ২০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে
- ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আরো পরিচ্ছন্ন-স্মার্ট হবে’
- তিন হাজার মিটার দৌড়ে ১৭ বছরের রেকর্ড ভাঙলেন রিংকি
- প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত
- ৪৬ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের জয়
- খাগড়াছড়িতে বর্তমান মেয়রকে হারালেন আওয়ামী লীগের নির্মলেন্দু চৌধুরী
- তিস্তা ব্যারাজের কমান্ড এলাকায় সেচ কার্যক্রম শুরু
- দুর্গম চরে আশার আলো
- অক্সিজেনের ন্যূনতম মূল্য ১০০-১২০ টাকা
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০৯১ গৃহহীন পরিবার পাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার
- টিকা দেওয়ার ছক প্রস্তুত
- ‘কোথাও দুর্নীতি হলে রাষ্ট্রের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে’
- গোল্ড মেডেল পেলেন বিএসপিআই`র অধ্যক্ষ আব্দুল মতিন
- সাজেকে মাইক্রোবাস খাদে পড়ে সেনাবাহিনীর মেজরসহ গুরুতর আহত ৮
- বছরের প্রথম দিনেই রাঙামাটিতে আগুনে নিঃস্ব ৬ পরিবার
- ফলোআপ
কাউখালীর ঘাগড়ায় নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত - নিখোঁজের ১৯ দিন পর কলেজ ছাত্রী এপি চাকমাকে খুলশি থেকে উদ্ধার
- দৃষ্টিনন্দন করা হচ্ছে রাঙামাটি-কাপ্তাই আসামবস্তী সড়ক
- বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি আঞ্চলিক তিন দলের মধ্যে ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধ
- রাঙামাটিতে ৫০০ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার ১
- সাজেকে সেনা চেক পোস্টে অস্ত্রসহ ইউপিডিএফ’র ৪ সন্ত্রাসী আটক
- রিছাং ঝর্ণায় পা পিছলে প্রাণ গেল দুই পর্যটকের
- খাগড়াছড়ি সীমান্তে বস্তাভর্তি ১৪০ কচ্ছপ উদ্ধার
- বাঘাইছড়িতে ট্রাক চাপায় অজ্ঞাতনামা নারী নিহত
- তিন দিনে ৩০০ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পাড়ি দিবে ১০০ সাইক্লিস্ট
- ‘ফুলের রশি’ দিয়ে গাড়ি টেনে রাঙামাটির পুলিশ সুপারকে বিদায়
- গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ চেষ্টার প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন
- রাঙামাটির কুতুকছড়িতে বেইলী ব্রিজ ভেঙে নিহত ৩
- কাপ্তাইয়ে কুকুরের আক্রমণে হরিণের মৃত্যু
- কাউখালীতে অজ্ঞাতনামা এক নারীর লাশ উদ্ধার
- গণমাধ্যমের ক্ষোভ
‘স্বাধীন সাংবাদিকতায় হস্তক্ষেপ’ বলছেন বিশিষ্টজনরা - ভদন্ত তিলোকানন্দ মহাস্থবিরের ৮৩তম জন্মদিনে ভক্তকূলের গাড়ী উপহার
- রাজস্থলীতে অস্ত্রসহ এক সন্ত্রাসী আটক
- ‘যারা দেশের উন্নয়নে খুশি হতে পারেনা, তারা পাহাড়ে শান্তি চায় না’
