আজ বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস
গ্লুকোমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায়
আলোকিত রাঙামাটি
প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২১

গ্লুকোমা হলো চোখের একপ্রকার রোগ, যাতে অপটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও চোখ অন্ধ হয়ে যায়। গ্লুকোমা হলো চোখের একপ্রকার রোগ, যাতে অপটিক স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও চোখ অন্ধ হয়ে যায়। গ্লুকোমাজনিতগ্লুকোমাজনিত অন্ধত্বের কোনো প্রতিকার নেই, প্রতিরোধই একমাত্র উপায়।
সারা বিশ্বে প্রায় ৮০ মিলিয়ন লোক অন্ধত্ব নিয়ে জীবনযাপন করছে। এর মধ্যে গ্লুকোমাজনিত কারণে অন্ধ লোকের সংখ্যা প্রায় ৮ মিলিয়ন। এর এক বিরাট অংশ রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ায়। বাংলাদেশে মোট জনগোষ্ঠীর ২ দশমিক ৮ ভাগ গ্লুকোমায় আক্রান্ত। এ ছাড়া এ রোগের ঝুঁকিতে আছে জনগোষ্ঠীর ১১ শতাংশ মানুষ।
গ্লুকোমা রোগ সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে এক বিরাট জনগোষ্ঠী অপরিবর্তনযোগ্য অন্ধত্বের শিকার হন, যা প্রাথমিক পর্যায়ে নির্ণয় করতে পারলে প্রতিরোধ করা সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক গ্লুকোমা রোগের লক্ষণ ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে-
গ্লুকোমা কী?
গ্লুকোমা চোখের একটি জটিল রোগ, যাতে চোখের স্নায়ু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং আস্তে আস্তে চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। এমনকি এতে একসময় রোগী সারা জীবনের জন্য অন্ধ হয়ে যায়। তবে সময়মতো ধৈর্য ধরে চিকিৎসা করলে এ অন্ধত্বের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চোখের অভ্যন্তরীণ উচ্চচাপ এর জন্য দায়ী।
কেন গ্লুকোমা রোগ হয়?
গ্লুকোমা রোগের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ খুঁজে পাওয়া না গেলেও অদ্যাবধি চোখের উচ্চচাপই এ রোগের প্রধান কারণ বলে ধরে নেয়া হয়। তবে স্বাভাবিক চাপেও এ রোগ হতে পারে। সাধারণত চোখের উচ্চচাপই ধীরে ধীরে চোখের স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দৃষ্টিকে ব্যাহত করে। তবে কিছু কিছু রোগের সঙ্গে এ রোগের গভীর সম্পর্ক লক্ষ করা যায় এবং অন্যান্য কারণেও এ রোগ হতে পারে। যেমন- পরিবারের অন্য কোনো নিকটাত্মীয়ের এ রোগ থাকা।
>> উচ্চবয়স (চল্লিশোর্ধ্ব)।
>> ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপ।
>> মাইগ্রেন নামক মাথাব্যথা।
>> রাত্রিকালীন উচ্চরক্তচাপের ওষুধ সেবন।
>> স্টেরোইড নামক ওষুধ দীর্ঘদিন সেবন করা।
>> চোখের ছানি অপারেশন না করলে বা দেরি করলে।
>> চোখের অন্যান্য রোগের কারণে।
>> জন্মগত চোখের ত্রুটি ইত্যাদি।
গ্লুকোমা রোগের লক্ষণ কী?
অনেক ক্ষেত্রেই রোগী এ রোগের কোনো লক্ষণ অনুধাবন করতে পারেন না। চশমা পরিবর্তনের সময় কিংবা নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষার সময় হঠাৎ করেই চিকিৎসক এ রোগ নির্ণয় করে থাকেন। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিম্নের লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। যেমন-
>> ঘন ঘন চশমার গ্লাস পরিবর্তন হওয়া।
>> চোখে ঝাপসা দেখা বা আলোর চারপাশে রংধনুর মতো দেখা।
>> ঘন ঘন মাথাব্যথা বা চোখে ব্যথা হওয়া।
>> দৃষ্টিশক্তি আস্তে আস্তে কমে যাওয়া বা দৃষ্টির পারিপার্শ্বিক ব্যাপ্তি কমে আসা। অনেক সময় চলতে গিয়ে দরজার পাশে বা অন্য কোনো পথচারীর গায়ে ধাক্কা লাগা।
>> মৃদু আলোয় কাজ করলে চোখে ব্যথা অনুভূত হওয়া।
>> ছোট ছোট বাচ্চার অথবা জন্মের পর চোখের কর্নিয়া ক্রমাগত বড় হয়ে যাওয়া বা চোখের কর্নিয়া সাদা হয়ে যাওয়া, চোখ লাল হওয়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি।
গ্লুকোমা রোগের চিকিৎসা
গ্লুকোমা রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, কিন্তু নিরাময় সম্ভব নয়। ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপের মতো এ রোগের চিকিৎসা সারা জীবন করে যেতে হবে। এ রোগে দৃষ্টি যতটুকু হ্রাস পেয়েছে, তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। তবে দৃষ্টি যাতে আর কমে না যায়, তার জন্য আমাদের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। এ রোগে প্রচলিত তিন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে
এক. ওষুধের দ্বারা চিকিৎসা
দুই. লেজার চিকিৎসা
তিন. শৈল্য চিকিৎসা বা সার্জারি
যেহেতু চোখের উচ্চচাপ এই রোগের প্রধান কারণ, তাই ওষুধের দ্বারা চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়। একটি ওষুধ দ্বারা নিয়ন্ত্রণে রাখা না গেলে একাধিক ওষুধ ব্যবহার করতে হবে। তাছাড়া তিন মাস পরপর চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে এ রোগের নিয়মিত কতগুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে, এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না। যেমন-
>> দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা।
>> চোখের চাপ পরীক্ষা।
>> দৃষ্টিব্যাপ্তি বা ভিজুয়াল ফিল্ড পরীক্ষা।
>> চোখের নার্ভ পরীক্ষা।
এই রোগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল নিয়মিত ওষুধ ব্যবহার করা এবং সময় মতো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা ও তার পরামর্শ মেনে চলা। যেহেতু অধিকাংশ রোগীর চোখে কোনো ব্যথা হয় না, এমনকি তেমন কোনো লক্ষণ অনুভূত হয় না, তাই রোগী নিজে, এমনকি রোগীর আত্মীয়স্বজনরাও এ দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা অব্যাহত রাখেন না। ফলে অনেক রোগী অকালে অন্ধত্ববরণ করে থাকেন। ওষুধ ছাড়াও গ্লুকোমার অন্যান্য চিকিৎসা রয়েছে, যার সিদ্ধান্ত প্রয়োজনে বা সময় মতো চিকিৎসক গ্রহণ করতে পারেন। যেমন- লেজার চিকিৎসা এবং শল্য চিকিৎসা। যার দ্বারা এই রোগে চোখের চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব।
গ্লুকোমা রোগে রোগীর করণীয়
>> চিকিৎসক রোগীর চক্ষু পরীক্ষা করে তার চোখের চাপের মাত্রা নির্ণয় করে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে ওষুধের মাত্রা নির্ধারণ করে দেবেন, তা নিয়মিত ব্যবহার করা।
>> দীর্ঘদিন একটি ওষুধ ব্যবহারে কার্যকারিতা কমে যেতে পারে বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, তাই নিয়মিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।
>> সময় মতো চোখের বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখা যে, তার গ্লুকোমা নিয়ন্ত্রণে আছে কি না।
>> পরিবারের সবার চোখ পরীক্ষা করে গ্লুকোমা আছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়া।
সর্বোপরি মনে রাখতে হবে, এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা। ঠিক মতো ওষুধ ব্যবহার করে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চললে একজন গ্লুকোমা রোগী তার স্বাভাবিক দৃষ্টি নিয়ে বাকি জীবনটা সুন্দরভাবে অতিবাহিত করতে পারেন।
পরিশেষে মনে রাখবেন, গ্লুকোমা অন্ধত্বের অন্যতম প্রধান কারণ, যার কোনো প্রতিকার নেই। প্রতিরোধই একমাত্র উপায়। চল্লিশোর্ধ্ব বয়সে আপনার চক্ষু পরীক্ষা করে চোখের চাপ জেনে নিন। গ্লুকোমা প্রতিরোধ করুন, অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে বেঁচে থাকুন। আপনার পরিবারের সবাইকে নিয়ে, সুন্দর দৃষ্টিশক্তি নিয়ে, পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করুন।

- আরও ৬ পণ্যের মালিকানা : রফতানির সম্ভাবনা বাড়বে
- কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদ কমল
- বাজারে আসছে দেশীয় ব্র্যান্ডের গাড়ি ‘বাংলা কার’
- রেল ট্র্যাকে বসল প্রথম কোচ ॥ বাস্তবায়নের পথে স্বপ্নের মেট্রোরেল
- কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
- ‘বিএসএমএমই’ তে করোনার ধরন শনাক্ত হবে
- দেশে জরুরি অনুমোদন পাচ্ছে আরো ছয় টিকা
- টিকা উৎপাদনে রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি বাংলাদেশের
- কার্বন নিঃসারণ কমাতে উন্নত দেশগুলোকে আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
- ডিপ্লোমা স্তরের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম শুরু
- কাপ্তাইয়ে কৃষকদের প্রণোদনার সার ও ধান বীজ বিতরণ কার্যক্রম শুরু
- বাঘাইছড়িতে মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনায় প্রতিবাদ সভা
- নানিয়ারচরে দুই সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষে যুবক নিহত
- তিন পার্বত্য জেলায় নিয়োগ তত্ত্বাবধান করবে মন্ত্রণালয়
- করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে
- রাঙামাটি জেলা পরিষদের উদ্যোগে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ও মাস্ক বিতরণ
- রাঙামাটিতে যেন ‘কেউ আর মানতে রাজি নয় লকডাউন’
- লংগদুতে ২০ টাকার মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে এক বৃদ্ধ নিহত
- কাপ্তাইয়ে করোনা প্রতিরোধে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ
- কাপ্তাইয়ে গৃহনির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক
- ‘হাসপাতালে ৭ থেকে ৮ হাজার বেড অল্প সময়ে বৃদ্ধি করেছি’
- মুমিনুলের শতক, শান্তর দেড় শতকে বিরতিতে বাংলাদেশ
- ছয়টি কোচ ঢাকায় এসেছে, প্রতিটি ট্রেনে চড়বে ১,৭৩৮ যাত্রী
- বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন
অনিশ্চয়তার মধ্যেই বাংলাদেশে উন্নতির লক্ষণ - থানায় মিলবে অক্সিজেন
- আলোকিত দাসিয়ার ছড়া
- জাতিসংঘের তিন সংস্থার নির্বাহী বোর্ডে বাংলাদেশ
- ১৫ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১১৫ কোটি
- আগামী বাজেটে থাকছে করোনার ৩ কর্মসূচি
- আর্থিক খাতের সেবার পরিধি আরও বাড়ল
- বাঘাইছড়িতে আকর্ষিক আগুনে আঞ্চলিক পরিষদ সদস্যের স’মিল ভস্মীভূত
- সোমবার থেকে সাতদিন সারাদেশে লকডাউন: সেতুমন্ত্রী
- বাঘাইছড়িতে করোনা সচেতনতায় জনসংহতি সমিতির মাস্ক বিতরণ
- বাঘাইছড়িতে র্যাবের অভিযানে হেফাজতের পলাতক আসামী হাছান আটক
- লকডাউনে বন্ধ থাকবে যাত্রীবাহী ট্রেন
- দীর্ঘ ২ বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু হল নানিয়ারচর বাজার
- নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় বাঘাইছড়িতে মোটরসাইকেলে আগুন
- রাঙামাটিতে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট, ২ হাজার ৮শ টাকা জরিমানা
- করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মোবাইল কোর্ট, ২ হাজার ৭শত টাকা জরিমানা
- ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার’
- বাঘাইছড়িতে জেএসএস’র সামরিক কমান্ডার বিশ্ব চাকমাকে গুলি করে হত্যা
- লকডাউন আরো বাড়তে পারে, জারি হচ্ছে প্রজ্ঞাপন
- সাংবাদিকতা পেশার বদনাম যেন না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন: তথ্যমন্ত্রী
- বাঘাইছড়িতে পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ ৪ যুবক আটক
- ‘গণতান্ত্রিক দেশে রক্তের হোলিখেলা বরদাস্ত করা হবে না’
- চাল-গম নিয়ে বিদেশ থেকে একসঙ্গে এলো ৭ জাহাজ
- বাঘাইছড়িতে মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার ঘটনায় মামলা
- রাঙামাটির দেপ্পোছড়িতে পিকআপ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাঁদে; নিহত ১, আহত ২
- রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য প্রিয়নন্দ চাকমাকে প্রাণ নাশের হুমকি
- কাপ্তাইয়ে নির্মাণাধীন ব্রিজের গার্ডার ধসে আহত ৬
