রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১২:০১, ৯ মে ২০২০

ঘরোয়া উপায়ে ঠাণ্ডা সারানোর ওষুধ আনারসের খোসা!

ঘরোয়া উপায়ে ঠাণ্ডা সারানোর ওষুধ আনারসের খোসা!

ছবি: আনারসের খোসা


গ্রীষ্মকালকে বলা হয় মধু মাস। এসময় নানা দেশীয় ফলে বাজার সয়লাব থাকে।  এর মধ্যে আনারস খুবই জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য ফল। উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার হিসেবে বিবেচনা করা হয় একে। 

প্রচুর পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এই ফলের খোসাও কিন্তু ফেলনা নয়। এমন কিছু ফল রয়েছে যার বীজ ও খোসা ফলের মতোই সমান পুষ্টিকর। এরকম ফলের মধ্যে অন্যতম হলো আনারস। এটি খেতে কম বেশি সবাই বেশ পছন্দ করেন। স্বাদে গুণে কোনো কিছুতেই এর কমতি নেই। 

আনারস খাওয়ার পর তার খোসাগুলো নিশ্চয় ফেলে দেন? কিন্তু জানেন কি? আনারসের খোসা থেকেও উপকার পাওয়া যায়। আনারসের পাশাপাশি এর খোসায়ও রয়েছে বহু গুণাগুণ। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তবে চলুন জেনে নেয়া যাক আনারসের খোসার স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে- 

হজম ক্ষমতা উন্নত করে

আনারসের রসালো অংশের চেয়ে খোসাটি অনেকটা শক্ত এবং স্বাদেও কিছুটা তেঁতো। তবে এই খোসা ফাইবারের অন্যতম উৎস। যা আপনার হজম ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

ঠাণ্ডা থেকে উপশম 

আনারসের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। তাই ঠাণ্ডা লাগলে তা থেকে খেতে পারেন আনারসের খোসা।

চোখ ভালো রাখে

আনারসের খোসায় থাকে বিটা ক্যারোটিন। যা চোখের রেটিনাকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। চোখের ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রোগ হওয়া থেকে রক্ষা করে। এই সমান কার্যকরী গুণ আনারসের সুস্বাদু অংশেও থাকে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে 

আনারস এবং তার খোসায় উচ্চমাত্রায় ভিটামিন সি থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

হার্টের সমস্যা দূর করে

আনারসের খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে, যা হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য দুর্দান্ত। আপনার যদি হার্ট এর সমস্যা থেকে থাকে তবে আপনি এটি খেতে পারেন।

কীভাবে খাবেন? 

খোসা থেকে কাঁটাগুলোকে ভালোভাবে বের করে ফলের সঙ্গেই খোসা খেতে পারেন। আবার কাঁটা অংশ বাদ দিয়ে ব্লেন্ড করে রসও খেতে পারেন। এছাড়াও পানিতে আনারসের খোসা জ্বাল করে সেই পানি চায়ের মতো পান করতে পারেন।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

আলোকিত রাঙামাটি