রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৯:৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২১

ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর

ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর

এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) ৫৮৫ কোটি টাকা অনুদানের প্রকল্পে ভূমি লিজ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সহযোগিতার জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্যাংকটির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন জিনটিং।

সোমবার বিকেলে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সচিবালয় কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ ধন্যবাদ জানান তিনি।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এডিমন জিনটিং বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ না করলে বিশাল  জনস্বার্থ জড়িত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হয়ত অসম্ভব পড়ত।

সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান এনডিসি, এডিবি'র বাংলাদেশ রেসিডেন্ট মিশনের প্রিন্সিপাল পোর্টফলিও ম্যানেজমেন্ট স্পেশালিস্ট টিকা লিম্বু, এক্সটারনাল এফেয়ার্স গোবিন্দ বার।

উল্লেখ্য, ১০ লাখ রোহিঙ্গাসহ প্রায় ১৫ লাখ লোকের সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এডিবির ৫৮৫ কোটি টাকা অনুদানে ‘কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন কার্যক্রম জরুরি সহায়তা প্রকল্প’ স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক গৃহীত হয়।

প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রয়োজনে আব্দুল লতিফ চৌধুরী ওয়াক্‌ফ এস্টেটের কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার পালংখালী মৌজার ১০০ একর ভূমি দীর্ঘ মেয়াদী লিজ প্রদানের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। কিন্তু ওয়াক্‌ফ এস্টেটের মোতওয়াল্লী নিয়োগ সংক্রান্তে দীর্ঘদিনের কোন্দল থাকার কারণে এবং হাইকোর্ট বিভাগে রিট চলমান থাকায় লিজ চুক্তি সম্পাদন করা সম্ভব হচ্ছিল না।

প্রকল্পের গুরুত্ব অনুধাবন করে ধর্ম সচিব ও ওয়াক্‌ফ প্রশাসনের সহযোগিতায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রী এস্টেটের উপকারভোগীদের নিয়ে গত ২৮ জুন জরুরি সভা করেন। সভায় এস্টেট পরিচালনা সংক্রান্তে উপকারভোগীদের মধ্যে সন্তোষজনক আপোষ হয় এবং হাইকোর্টের চলমান মামলাটি অ্যাটর্নি জেনারেলের পরামর্শক্রমে ও উভয়পক্ষের সম্মতিতে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা হয়। ফলে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাধা কেটে যায়।

উক্ত আপোষনামার পরিপ্রেক্ষিতে ওয়াক্‌ফ প্রশাসক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প পরিচালককে ৩০ জুনের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদী লিজ (চুক্তি) সম্পাদনের অনুমতি প্রদান করেন।

সে অনুসারে প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। ফলে উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার ১০ লাখ রোহিঙ্গাসহ মোট ১৫ লাখ লোকের সুপেয় পানি সরবরাহের স্থায়ী সমাধানের পথ সুগম হয়েছে।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়