রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ১৭ জানুয়ারি ২০২২

দেশের শিক্ষার্থীরা মেধাবী ও সৃজনশীল: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী

দেশের শিক্ষার্থীরা মেধাবী ও সৃজনশীল: টেলিযোগাযোগমন্ত্রী

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার- ফাইল ফটো


ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মেধাবী ও সৃজনশীল। তাদের উপযুক্ত শিক্ষার মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে টিকে থাকা কঠিন হবে।

রোববার ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস, অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের বিশাল জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে তা হবে আমাদের জন্য কঠিন সংকট। এ সংকটের দায় আমাদেরই বহন করতে হবে। শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে এ দায় থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।

সভ্যতার রূপান্তরে আগের কোনো শিল্প বিপ্লবে এ ভূখণ্ডের মানুষ অংশ নিতে পারেনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েও প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ, কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণ, ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফসহ যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তিনি আইওটি ও ইউপিইউর সদস্যপদ অর্জন, টিঅ্যান্ডটি বোর্ড গঠন এবং বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তৃতীয় শিল্প বিপ্লবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের অভিযাত্রা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ থেকে গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের মাধ্যমে উন্নয়নের প্রতিটি সূচকে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি আরো বলেন, গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তির যুগে প্রবেশ করেছে। এ প্রযুক্তি কাজে লাগানোর মাধ্যমে শিল্পের পাশাপাশি কৃষিতে বিস্ময়কর রূপান্তর সম্ভব।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধে দেশের প্রতিটি গ্রামে একজন গ্রাজুয়েট সৃষ্টির লক্ষ্যে আইইউবিএটি’র উদ্যোগ তুলে ধরা হয়। এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

আইইউবিএটি’র মতো বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য এর প্রতিষ্ঠাতা ড. আলীম উল্লাহ মিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করেন মোস্তাফা জব্বার।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার বক্তৃতা করেন।

আলোকিত রাঙামাটি