রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৩:৫৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২২

আপডেট: ১৩:৫৬, ২৯ জানুয়ারি ২০২২

রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ক্যান্সার প্রতিরোধী বিদেশী ফল ‘সাওয়ারসপ’

রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে ক্যান্সার প্রতিরোধী বিদেশী ফল ‘সাওয়ারসপ’
সাওয়ারসপ বা টক আতা ফল। শুক্রবার সকালে কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র হতে তোলা ছবি।

“সাওয়ারসপ বা টক আতা” (করোসল) একটি বিশেষ ঔষধী গুণের ফল। এই ফলের উৎপত্তিস্থল দক্ষিণ আমেরিকায় হলেও সারা বিশ্বে এর কদর দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিভিন্ন দেশে এটা ক্যান্সার প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলটি সুস্বাদু। ফল হিসেবে অথবা পাতা বা বাকলের রস চা’য়ের মত খেলে দেহে ক্যান্সার সেল বৃদ্ধি হতে দেয়না। টক আতা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের জনপ্রিয় ছোট অ্যান্টি ক্যান্সার ঔষধি বৃক্ষ হিসাবে ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। 

ফলটি-অঞ্চল ভিত্তিক ভিন্ন নামেই সমাদৃত। গ্র্যাভিওলা, (Graviola), সোরসপ, গুয়ানাভা বা ব্রাজিলিয়ান পাও পাও। করোসলের কমন নাম: “soursop”, “prickly custard apple” এবং বৈজ্ঞানিক নাম: Annona muricata।

পার্বত্যাঞ্চলের কৃষি বিপ্লবের বাতিঘর হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধীন কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী পাহাড়ী আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে এই ফলের চাষ করে সফলতা অর্জন করেছে এখানকার বিজ্ঞানিরা।

এই গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডঃ আলতাফ হোসেন জানান, গত ৪ বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে এই গাছের চারা এনে গবেষণা কেন্দ্রে লাগানো হয়। গত ২ বছর ধরে গাছ গুলোতে ফল ধরছে। এই কেন্দ্রের ২৫টি গাছ রয়েছে। প্রতিটি গাছে কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০টি ফল ধরে এবং প্রতিটি ফলের ওজন এক কেজির মতো হয়।

তিনি আরো জানান, এই ফল সাধারণত জুন-জুলাই মাসে ধরে। যেহেতু এটি একটি ক্যানসার প্রতিরোধক ফল হিসাবে বিশ্বে পরিচিত, তাই অনেকে এসে কেন্দ্র থেকে এই ফল এবং এর পাতা সংগ্রহ করে নেয়। তবে বাণিজ্যিক ভাবে এখনো এই ফলের বাজার মূল্য নির্ধারিত না হলেও অচিরেই এটি এদেশে বাণিজ্যিক ভাবে এর বিস্তার লাভ করবে বলে আমরা মনে করি।

এই ফলের স্বাদ গ্রহণকারী কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, এই ফলের চিত্র ও বীজ আতা ফলের মতই। আর স্বাদটা অনেকটা মিক্সড মনে হয়েছে। আমাদের দেশী কাঁঠাল, টকলিচু, আম, আতা আর আপেলের পেস্ট এক সাথে খেলে যেমন লাগবে এ ফলের স্বাদ ঠিক তেমনি মনে হয়েছে আমার কাছে। এ গাছের পাতার সেদ্ধ পানি নিয়মিত খেলে ব্লাড সুগার কমায়, হাইপারটেনশন থেকেও নাকি মুক্তি মেলে আর শরীরকে তরতাজা রাখে।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়