রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

স্পোর্টস ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৭:০৫, ২ আগস্ট ২০২২

সিরিজ জয়ের মিশনে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

সিরিজ জয়ের মিশনে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ফাইল ছবি

তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-২০তে আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অলিখিত ফাইনালে নামছে বাংলাদেশ। এর আগের দুই ম্যাচে উভয় দলই একটি করে ম্যাচ জিতেছে। ফলে দুই দলের সামনেই আজ সিরিজ জয়ের হাতছানি। 

মঙ্গলবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের শেষ টি-২০ ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়। এর আগে টস জিতে ব্যাটিং জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। ফলে আগে ফিল্ডিং করবে টাইগাররা।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৭ রানে হারায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টাইগাররা ম্যাচ জিতে নেয় ৭ উইকেটে।

চোটের কারণে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে নেই সোহান। দ্বিতীয় টি-২০তে কিপিংয়ের সময় পেসার হাসান মাহমুদের একটি ডেলিভারি হাতে লেগে তার আঙুলে চিড় ধরেছে। যার ফলে সোহান ছিটকে গেছেন পুরো সফর থেকেই।

সোহানের জায়গায় অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনকে। দলে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বলা যায় বাধ্য হয়েই বাংলাদেশকে টিম কম্বিনেশন বদলাতে হবে।

তৃতীয় ম্যাচে কে জিতবে? দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে জেতানো সৈকত মনে করেন, নিজেদের প্রক্রিয়া ঠিক রাখতে পারলেই ম্যাচ ও সিরিজ জিততে পারবে বাংলাদেশ। 

সোহানের বদলে কে খেলবেন এটি নিসচিত করেনি টিম মানেজমেন্ট। তবে ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে প্রশ্ন এখন এটাই, টিম কম্বিনেশনে বড়সড় পরিবর্তন আনা হবে? নাকি শুধু মাহমুদউল্লাহকে একাদশে ফেরানো হবে?

ফর্মে নেই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার। এনামুল হক বিজয়ও নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না। তাদের একজন হয়তো এমনিতেই তৃতীয় টি-২০তে জায়গা হারাতেন। সোহান ছিটকে পড়ায় সেই কাজটাও কঠিন হয়ে গেছে। 

বলা যায় একটি জায়গা পরিবর্তন করতেই হচ্ছে। যদি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ খেলেন, তবে হয়তো টিম কম্বিনেশন এত বদলাতে হবে না। কিন্তু যদি রিয়াদও খেলেন, আবার মুনিম শাহরিয়ার আর এনামুল হক বিজয়েরও বিকল্প ভাবা হয়, তবে গড়বড় লেগে যেতে পারে টিম কম্বিনেশনে। 

মুনিম শাহরিয়ারের বদলে পারভেজ ইমন একাদশে সুযোগ পেতে পারেন। আর এনামুল হক বিজয়ের বদলে আসতে পারেন মেহেদি হাসান মিরাজ। সেক্ষেত্রে ওপেনিংয়ে তো বদল আসবেই, বদল আসবে বোলিং আক্রমণেও। 

বাংলাদেশ স্কোয়াড: 
মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক বিজয়, লিটন দাস, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, শেখ মাহেদি, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ ও পারভেজ হোসেন ইমন।

জিম্বাবুয়ে স্কোয়াড: 
ক্রেইগ আরভিন (অধিনায়ক), রায়ান বার্ল, রেগিস চাকাভা (উইকেটরক্ষক), তানাকা চিভাঙ্গা, লুক জঙ্গি, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলে মাধভের, তাদিওয়ানশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, টনি মুনিয়োঙ্গা, রিচার্ড এনগারাভা, ভিক্টর নিয়ুচি, সিকান্দার রাজা, মিল্টন শুম্বা ও সিন উইলিয়ামস।