রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৩ চৈত্র ১৪৩০

বাঘাইছড়ি প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৫:৫০, ২২ মে ২০২২

আপডেট: ১৫:৫১, ২২ মে ২০২২

বাঘাইছড়ির সেই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শুরু

বাঘাইছড়ির সেই হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শুরু
বাঘাইছড়ি হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পেয়ার মোহাম্মদ’র অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শুরু

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বিতর্কিত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পেয়ার মোহাম্মদ এর ঘুষ-দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে তদন্ত কমিটি। গত ১৭ মে “টাকা ছাড়া ফাইল নড়ে না” শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাতীয় “দৈনিক আজকের পত্রিকা” ও ‘আলোকিত রাঙ্গামাটি’সহ বেশ কিছু গণমাধ্যম। প্রতিবেনটি প্রকাশের একদিন পর ১৮ মে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এতে “ডিভিশনাল কন্ট্রোলার অব একাউন্টস”- এর কার্যালয় চট্টগ্রাম বিভাগের হিসাব শাখার অডিট এন্ড একাউন্টস অফিসার ডিসিএ নাছরিন আক্তার চট্টগ্রাম কার্যালয়ের স্বাক্ষরিত চিঠিতে নোয়াখালী জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার ইকবাল মোর্শেদকে তদন্তবার দেয়া হয়।


চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, আজকের পত্রিকায় প্রতিবেদন উপর্যুক্ত বিষয় ও সূত্রের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। বিষয়োক্ত পত্রের আলোকে আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন “টাকা ছাড়া ফাইল নড়েনা” পেয়ার মোহাম্মদ, ইউএও/বাঘাইছড়ি রাঙামাটি এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আপনার সুস্পষ্ট মতামতসহ তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২৪ মে ২০২২ তারিখের মধ্যে অত্র কার্যালয়ে দাখিল করার জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।

তারই ধারাবাহিকতায় আজ (২২ মে) রবিবার সকাল ১০টায় বাঘাইছড়ি উপজেলায় উপস্থিত হয়ে নোয়াখালী জেলা একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার ইকবাল মোর্শেদ তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথমে তিনি অভিযুক্ত হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পেয়ার মোহাম্মদ এর কার্যালয়ে যান এবং পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ জয়নাল আবেদীন, শিক্ষক সমিতির নেতা মোহাম্মদ হুসেন (বাবুল) ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূরমোহম্মদ কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।


পরে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার ভূমি (এসিল্যান্ড) মংশিনু মারমার সাথে কথা বলে ধারাবাহিক ভাবে আরো অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা ও ভুক্তভোগী লোকজনের সাথে কথা বলেন।

তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মোর্শেদ স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, তদন্ত চলমান রয়েছে। তাই এই মুহূর্তে কিছু বলা যাবে না। তদন্ত শেষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন মামুন বলেন, তদন্ত কর্মকর্তার সাথে আমার কথা হয়েছে। আমি অনুরোধ করেছি শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে অভিযুক্ত হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা পেয়ার মোহাম্মদকে যত দ্রুত সম্ভব বাঘাইছড়ি থেকে সরিয়ে নেয়ার। কারণ বাঘাইছড়িবাসী তার অনিয়ম দুর্নীতিতে বিরক্ত ও সংক্ষুব্ধ।

সম্পর্কিত বিষয়: