রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙামাটি (সদর) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৩:৪৪, ২১ মে ২০২৩

আপডেট: ১৩:৪৮, ২১ মে ২০২৩

পাহাড়ে অন্ধকার দূর করে আলোর মুখ দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: নিখিল কুমার চাকমা

পাহাড়ে অন্ধকার দূর করে আলোর মুখ দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: নিখিল কুমার চাকমা
দুর্গম বরকলে উপকারভোগীদের মাঝে সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ করছেন নিখিল কুমার চাকমা। ছবিঃ আলোকিত রাঙ্গামাটি

পাহাড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের অন্ধকার দূর করে আলোর মুখ দেখাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। তিনি বলেন, একটা সময় দুর্গম পাহাড়বাসীকে আলোর জন্য নির্ভর থাকতে হতো কেরোসিনের কুপি বাতি আর মোমবাতির উপর। কিন্তু কালের পরির্বতন আর বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নে বদলেছে পাহাড়ের চিত্র। এখন রাতের পাহাড়েও দূর থেকে দেখা যায় জ্বলজ্বল করছে সোলারের আলো। আলোয় আলোকিত হয়েছে পাহাড়বাসীর জীবনও।

রবিবার (২১ মে) সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়নাধীন রাঙামাটির দুর্গম বরকল উপজেলার সুবলং বাজার এলাকায় ও আইমছড়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৮০ জন উপকারভোগীদের মাঝে বিদুৎ সরবরাহ প্রকল্প ২য় পর্যায় শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সোলার হোম সিস্টেম বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের সোলার হোম সিস্টেম প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (উপ সচিব) হারুন অর রশীদ, জেলা পরিষদের সদস্য সুবির কুমার চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার  চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষিত চাকমা, সুবলং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, সুবলং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালাম প্রমুখ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকার প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বর্তমান সরকার। এ ধারাবাহিকতায় বর্তমানে দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলের অধিকাংশ গ্রাম বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হয়েছে। যেসব দুর্গম এলাকা বাকি রয়েছে, সেসব এলাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে আলোয় আলোকিত করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ের আনাচে কানাচে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সম্প্রসারণের কাজ চলছে। যেখানে বিদ্যুৎ লাইন বসানো যাবে না, সে সমস্ত দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়া হবে। সোলারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হলে সেখানকার দুর্গম পার্বত্য পল্লীগুলোর মানুষ ডিজিটাল সুযোগ সুবিধার অন্তর্ভুক্তির পাশাপাশি স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ নিতে পারবেন।

সম্পর্কিত বিষয়: