রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ২১ মে ২০২২

আপডেট: ১২:০৭, ২৪ মে ২০২২

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে সরব নেতাকর্মীরা

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ঘিরে সরব নেতাকর্মীরা

আওয়ামী লীগের জেলা সম্মেলনকে ঘিরে উৎসব মুখর হয়ে ওঠেছে পাহাড়ি জেলা রাঙামাটি। দীর্ঘদিন পর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়ায় উচ্ছাস দেখা দিয়েছে নেতাকর্মীদের মাঝে। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সরব হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

প্রথমদিকে শুধুমাত্র সাধারণ সম্পাদকের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার খবর পাওয়া গেলেও; কয়েকদিন যেতে না যেতেই সভাপতি পদেও প্রতিদ্বন্ধিতার খবর ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এতদিন সাধারণ সম্পাদক পদের প্রতিদ্বন্ধিতা নিয়ে নেতাকর্মীরা দু’ভাগে বিভক্ত হলেও এখন সেই বিভক্তি বেড়েছে। অবশ্য প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ নেতাদের কেউ মুখ খুলছেন না। 

আগামী ২৪ মে অনুষ্ঠেয় জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ২৪৬ জন কাউন্সিলর-জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করবেন। তাঁদের প্রত্যক্ষ ভোটেই হতে পারে দুই পদের আগামীর নেতা। তবে পরিস্থিতি যেভাবে এগোচ্ছে তাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে ভোট ছাড়াই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হতে পারেন-এমনটাও অস্বাভাবিক নয়। 

দিন যতই গড়াচ্ছে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে আলোচনার ঝড় ততই জোরালো হচ্ছে। চায়ের দোকান থেকে অফিস পাড়া সর্বত্রই জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন তা’ই আলোচনা চলছে। অফলাইনের পাশাপাশি অনলাইনেও জোরালো হয়েছে সেই আলোচনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক খুললেই চোখে পড়ে জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিজ নিজ পছন্দের নেতার নামে জোর প্রচারণা। অবশ্য ২৬৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে কেউই অনলাইন-অফলাইনে এই বিষয়ে সরব নয়। কে কাকে ভোট দিবেন-তাও বলছেন না প্রকাশ্যে।

এদিকে, ক্ষণে ক্ষণে পাল্টাচ্ছে রূপ। আলোচনায় সভাপতি পদে কেউ কেউ দীপংকর তালুকদার আবার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী। আবার কেউ কেউ নিখিল কুমার চাকমার বিজয়কেই এগিয়ে রাখছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর পুনঃরায় নির্বাচিত হচ্ছেন বলে কেউ কেউ আড্ডায় আলোচনায় ঝড় তুলছেন।

আবার কেউ কেউ বলছেন, এই পদে পরিবর্তন এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এক্ষেত্রে অনেকেই হাজী কামাল সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন বলে তাদের ধারনা। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কে নির্বাচিত হবেন। তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৪ মে পর্যন্ত। আদৈ কি ভোটের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হচ্ছেন নাকি কেন্দ্রীয় নেতারাই মনোনীত করবেন উক্ত দুই পদের প্রতিনিধি। তা বুঝা যাবে সম্মেলনের দিন।