রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

প্রকাশিত: ১৩:৩৯, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১৫:০৭, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাঙামাটিতে মঙ্গলবার থেকে ৩২ ঘণ্টার হরতালের ডাক পিসিএনপি’র

রাঙামাটিতে মঙ্গলবার থেকে ৩২ ঘণ্টার হরতালের ডাক পিসিএনপি’র
ফাইল ছবি 


পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন বাতিল, ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নসহ আগামী বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটিতে পার্বত্য ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানের বৈঠক বাতিলের দাবীতে কাল মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টা থেকে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টা পর্যন্ত রাঙামাটি শহর এলাকায় টানা ৩২ ঘন্টার হরতালের ডাক দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।

সোমবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি স্থানীয় রেস্টুরেস্টে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচী ঘোষণা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।

ছবি:- আলোকিত রাঙ্গামাটি

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুজিবুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আনিসুর জামান ডালিম, যুগ্ম-সম্পাদক রুহুল আমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক এস এম মাসুম রানা, রাঙামাটি জেলা কমিটির মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আসমা মল্লিক, সাংগঠনিক সম্পাদক লাভলী আক্তারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ৭ দফা দাবী গুলো হলোঃ-

(১). পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জনসংখ্যা অনুপাতে সকল জাতি গোষ্ঠী থেকে সমান সংখ্যক সদস্য নিশ্চিত করতে হবে।

(২). পার্বত্য চট্টগ্রামে ভূমি নিরোধ নিষ্পত্তি এর কার্যক্রম শুরুর পূর্বে, ভূমির বর্তমান অবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভূমি জরিপ সম্পন্ন করতে হবে।

(৩). জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভূমির উপর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক ভূমি কমিশন সংশোধনী আইন ২০১৬ এর ধারা সমূহ বাতিল করতে হবে।

(৪). পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমি ব্যবস্থাপনা দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রবর্তন করতে হবে এবং সমতলের ন্যায় জেলা প্রশসকগণকে ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির অধিকার দিতে হবে।

(৫). কমিশন কর্তৃক ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তির কারনে কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হলে তাকে পার্বত্য চট্টগ্রামে সরকারী খাস জমিতে পূনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।

(৬). পার্বত্য চট্টগ্রামে তথাকথিত রীতি, প্রথা ও পদ্ধতির পরিবর্তে দেশে বিদ্যমান ভূমি আইন অনুসারে ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা কর হবে।

(৭). বাংলাদেশ সরকারের আদেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসক কর্তৃক বন্দোবস্তীকৃত অথবা কবুলিয়ত প্রাপ্ত মালিকানা থেকে কাউকে উচ্ছেদ করা যাবে না।