রাঙামাটিতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল নিষিদ্ধ

আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলা এবং অতি বর্ষণ হলে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় পার্বত্য জেলা রাঙামাটির ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাঙামাটি পৌরসভার ০৯টি ওয়ার্ডের ২৯ টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে এবং এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। একইসাথে উপজেলা পর্যায়েও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ খোলা রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।

অন্যদিকে, জরুরি প্রয়োজনে কন্ট্রোল রুম নেজারত ডেপুটি কালেক্টর নাম্বার (০১৮২০৩০৮৮৬৯), জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা নাম্বার (০১৫৫০০২৮৭০৭) এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (টেলিফোন: ০২৩৩৩৭১৬২৩) নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য বলা হয়েছে।

এক বিজ্ঞপ্তিতে দূর্যোগকালীন দুর্গতদের আশ্রয়কেন্দ্রে আনায়ন, আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থানকারীদের মাঝে খাবার বিতরণ, ঔষধ এবং নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে সমন্বয় করার জন্য বলা হয়েছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভারি বর্ষণ হলে পার্বত্য অঞ্চলে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকে। তাই আমরা সবাই সর্তক রয়েছি। আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে এবং কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বিকালে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো পরিদর্শন করার কথাও জানান জেলা প্রশাসক।’

এদিকে, সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে। আকাশে মেঘ জমে কালো হয়ে আছে। কিছুক্ষণ পর পর পরিষ্কার হলেও মুহুর্তে আবার মেঘ জমে যায়।

অপরদিকে, আজ শনিবার (১৩ মে) দুপুর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল প্রকার নৌ যান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ১৩জুন পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে ভারি বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড় ধসে ১২০ জন মানুষ মারা যায়।