রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-

প্রকাশিত: ১২:৩১, ৩১ মে ২০২৩

আপডেট: ১২:৩৬, ৩১ মে ২০২৩

ভূষণছড়া গণহত্যা’র সুষ্ঠ তদন্ত ও খুনিদের বিচার দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন

ভূষণছড়া গণহত্যা’র সুষ্ঠ তদন্ত ও খুনিদের বিচার দাবিতে রাঙামাটিতে মানববন্ধন

ভূষণছড়া গণহত্যা’র সুষ্ঠ তদন্ত, খুনিদের বিচারসহ নানা দাবিতে রাঙামাটিতে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক ভূষণছড়া গণহত্যা দিবস।

বুধবার (৩১ মে) সকাল ১১টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের আয়োজনে রাঙামাটি বনরূপা মসজিদ মার্কেটের সামনে বিভিন্ন ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার সহ-সভাপতি কাজী জালোয়া এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ পিসিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মজিবর রহমান, মহাসচিব আলমগীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল মজিদ, অর্থ সম্পাদক লোকমান হোসেন, রাঙামাটি জেলার সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দীক, প্রচার সম্পাদক হুমায়ন কবির, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোঃ হাবীব আজম, পৌর সভাপতি পারভেজ মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম রনি, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাবু, সাপছড়ি ইউনিয়ন সভাপতি রাজিবুল ইসলাম রিয়াজ প্রমুখ।


মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভূষণছড়া গণহত্যাসহ অসংখ্য বর্বরোচিত ঘটনার শিকার হয়েছে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালীরা। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন হত্যাকাণ্ডের বিচার করা হয়নি। উল্টো পাহাড়ে প্রতিনিয়ত অবৈধ অস্ত্র ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ পাহাড়ী ও বাঙালী উভয়ই এই সকল সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হত্যা, চাঁদাবাজি ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ। তাই পাহাড়ে কাঙ্খিত শান্তির সুবাতাস ফিরিয়ে আনতে পাহাড়ে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী, হত্যা, গুম, খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে এখনই রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, কাগজে কলমে শান্তিবাহিনী না থাকলেও পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সংগঠনগুলোর দৌরাত্ম থেমে নেই। তাদের হাতে বাঙালীরা যেমন হত্যার শিকার হচ্ছে, তেমনি নিহত হচ্ছে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীগুলোর মানুষজন। পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসীরা পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠীকে কোণঠাসা করে রেখেছে। তারা এখন পাহাড়ের সাধারণ মানুষের কাছে মুর্তিমান আতংক। কখন কার উপর তারা আক্রমন চালাবে তা নিয়ে আতংকে থাকে প্রতিনিয়ত পাহাড়ের সাধারণ মানুষ। তাই পার্বত্য এলাকায় শান্তি আনয়নের জন্য অবিলম্বে ভূষণছড়া গণহত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে জেএসএস ও ইউপিডিএফ এর সন্ত্রাসী কর্তৃক সকল হত্যাকাণ্ডের বিচার ও প্রত্যাহারকৃত সেনাক্যাম্প পুনঃস্থাপনে সরকারের কাছে জোর দাবী জানান নেতৃবৃন্দরা।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের এই দিনে রাঙামাটি জেলার বরকল উপজেলার ভূষণছড়া ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার পাহাড়ী সন্ত্রাসী সংগঠন জেএসএসের সশস্ত্র শাখা শান্তি বাহিনীর সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে খুন হওয়া চার শতাধিক নীরিহ বাঙালী নারী-পুরুষকে নির্মমভাবে হত্যার পরবর্তী দীর্ঘ ৩৯ বছরেও বিচার পায়নি নিহতদের স্বজনরা। নিহতের স্মরণে প্রতি বছর এই দিনটিতে বিভিন্ন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে হত্যাকারিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছে পাহাড়ের বিভিন্ন সংগঠনগুলো।

সম্পর্কিত বিষয়: