রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১০:৪০, ৫ আগস্ট ২০২১

পঁচাত্তরের শত্রুরা এদেশে এখনো সক্রিয়: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

পঁচাত্তরের শত্রুরা এদেশে এখনো সক্রিয়: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার সঙ্গে জড়িত শত্রুরা এদেশে এখনো সক্রিয় বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

বুধবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় ছেলে শহিদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। 

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আরো বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্লট যারা রচনা করেছিল, তারা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। তারা এদেশ থেকে এখনো বিনাশ হয়ে যায়নি। কখনো ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে কখনো তারা স্বাধীন ফোরাম করে এদেশে থাকে। পঁচাত্তরের শত্রু যারা, তারা একাত্তরের শত্রু, তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারী এবং তারাই ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা করেছে। তারাই শেখ কামালকে হত্যা করেছে। আমরা সে মানুষগুলোকে এখনো আইনের আওতায় আনতে পারিনি।

শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ছিলেন বিধায় এত প্রতিকূলতার ভেতরেও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। শেখ হাসিনা না থাকলে এ জাতীয় হত্যাকাণ্ডের বা ঘটনার বিচার কোনোদিন হত না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘গো অ্যাহেড’ বলে প্রমাণ করেছেন তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের শুধু ষড়যন্ত্রকারীই নন, হুকুমদাতা। এজন্য বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের সম্পৃক্ততা নিয়ে নতুন করে একটি সম্পূরক তদন্ত করে সে রিপোর্ট রেকর্ডে রাখা উচিত। এ বিষয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া দরকার, যে তদন্ত কমিশন বঙ্গবন্ধু হত্যা ও ষড়যন্ত্রে কারা কারা জড়িত ছিল তাদের নাম প্রকাশ করবে।

তিনি আরো বলেন, শহিদ শেখ কামাল বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির জন্য সম্পদ ছিলেন। তাকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা না হলে এ দেশের রাজনীতি, সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় তিনি বিশাল অবদান রাখতে পারতেন। শেখ কামালকে হত্যার মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।

প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের খুনিদের টার্গেট ছিল বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার ও স্বজনরা। কারণ তারাই হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। খুনিরা ভেবেছিল তাদের মেরে ফেলতে পারলে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও চেতনাকে মেরে ফেলা যাবে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মতো হত্যাকাণ্ডের নজির পৃথিবীর কোথাও নেই।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সুজন হালদারের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান। এছাড়া আরো অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বলরাম পোদ্দার, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, সহ-সভাপতি অরুণা বিশ্বাস, যুগ্ম সম্পাদক তারিন জাহান, শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী প্রমুখ।

আলোকিত রাঙামাটি