রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২৫ নভেম্বর ২০২১

নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান ঘটানোর আন্তর্জাতিক দিবস আজ

নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান ঘটানোর আন্তর্জাতিক দিবস আজ

নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান ঘটানোর আন্তর্জাতিক দিবস আজ। ছবি সংগৃহীত


২৫ নভেম্বর, আজ নারীর প্রতি সহিংসতার অবসান ঘটানোর আন্তর্জাতিক দিবস। জাতিসংঘ কর্তৃক প্রবর্তিত একটি বিশেষ দিবস যার লক্ষ্য হলো নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা।

নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে ১৯৮১ সালে লাতিন আমেরিকায় নারীদের এক সম্মেলনে ২৫ নভেম্বর আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৯৯৩ সালে ভিয়েনায় বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলন দিবসটি স্বীকৃতি পায়। জাতিসংঘ দিবসটি পালনের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর। বাংলাদেশে ১৯৯৭ সাল থেকে দিবসটি পালন করে আসছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কর্তৃক পরিচালিত ২০১১ সালের জরিপ মতে, শতকরা ৮৭ ভাগ নারী স্বামীর মাধ্যমে কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হন। জাতিসংঘের বিশেষ রিপোর্ট মতে, বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ বিবাহিত নারী জীবনে কোনো না কোনো সময়ে স্বামী কিংবা তার পরিবার বা উভয়ের দ্বারা নির্যাতিত হন।

এছাড়াও বিশ্বজুড়ে প্রতি ১০০ জনে সাতজন নারী কোনো না কোনোভাবে যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, সাত শতাংশ নারী সরাসরি ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। উন্নত-অনুন্নত সব দেশে নারীর প্রতি সহিংসতার চিত্র আরো অমানবিক। নারী ও শিশুদের ওপর বিভিন্ন ধরনের নিপীড়ন ও সহিংসতা চালানো হলেও এই সব ঘটনার বিচার এবং অপরাধীদের সাজা হওয়ার সংখ্যা খুবই কম। 

ফলে নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি ও অভিযুক্তদের দায়মুক্তির কারণে সামাজিক শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়েছে। ধর্ষণের হার মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,  অধিকারের তথ্য অনুযায়ী ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ৭৮৯৫ জন নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হন। এদের মধ্যে মেয়ে শিশু ধর্ষণের হার প্রায় দ্বিগুণ। একই সময়ে ৬০১ জন নারী ও মেয়ে শিশু এসিড সহিংসতার শিকার হয়েছেন এবং ৩৫৯৪ জন নারী যৌতুক সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

এই দিবস পালনের পেছনে রয়েছে এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনা। ১৯৬০ সালের ২৫ নভেম্বর লাতিন আমেরিকার দেশ ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্রের স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন করার জন্য প্যাট্রিয়া, মারিয়া তেরেসা ও মিনার্ভা মিরাবেল নামের তিন বোনকে হত্যা করা হয়। আর তাদের স্মরণে ১৯৮১ সাল থেকে এই দিনটি আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিবাদ দিবস হিসেবে পালিত হয়।

এই দিবস পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করা। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিবছর ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রতিরোধ পক্ষ উদযাপনে নানা কর্মসূচি নেয়। এ বছরও এই উপলক্ষে মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা নারী নির্যাতন বন্ধ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়