রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ , ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ০৯:৩৬, ২৭ নভেম্বর ২০২১

`প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ`

`প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ`

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার ঘোষণা দিলেও এখনো দুর্নীতি লুটপাট চলছে। দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। ধর্মকে ইস্যু করে যাতে দেশকে কেউ অস্থিতিশীল করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, সুবর্ণ জয়ন্তীর আলোচনার দিনে অনুরোধ থাকবে আমরা ধর্মকে ইস্যু করব না। এটা চলবে না। এটাকে ইস্যু করে এই সমাজকে অস্থিতিশীল করবেন না। ধর্মকে যারা ইস্যু করছেন, তারা দেশের জন্য কাজ করছেন না। দেশকে অস্থিতিশীল করছেন। এটা অমঙ্গল বয়ে আনবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতি ও ধর্মীয় নিরপেক্ষতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যারা ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, দেশের অর্জনকে ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। এ জন্য দুর্নীতি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। সংবাদমাধ্যমের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। বিচার বিভাগ নিরপেক্ষ করতে হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ করতে হবে। নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে হবে। সেটা না হলে প্রধানমন্ত্রীর অর্জন ভবিষ্যতে ধরে রাখা যাবে না, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘আলাদিনের আশ্চর্য’ প্রদীপ বলে আখ্যায়িত করে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. ফখরুল ইমাম বলেন, আমরা আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ হাতে পেয়েছি। সেই প্রদীপ হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর কারণেই এত উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পেছনের সব উদ্দেশ্য রাতারাতি পূরণ হয়ে যাবে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। তবে দেশপ্রেম, সততা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা হলে অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কিছুই অর্জন করতে পারব।

সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম বলেন, সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশকে কিছু বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। শক্ত হাতে দুর্নীতির লাগাম ধরতে হবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমানো, বেকারত্ব সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। করোনার কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক চাপ মোকাবেলা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো, উগ্রবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলা, দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখা এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ছাত্র-জনতার অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু সারা জীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। সাড়ে ৫৪ বছরের জীবনের ১৪ বছরই জেলে থেকেছেন বঙ্গবন্ধু। তার মতো ত্যাগ ইতিহাসে বিরল। সেটা একমাত্র বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই সম্ভব হয়েছিল।

তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে খাদ্যের সংকট ছিল, কিন্তু তখনকার চেয়ে জনসংখ্যা বাড়লেও এখন তা নেই। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। দেশে বস্ত্রের সংকট নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে উন্নয়নের অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু এখনো দুর্নীতি বন্ধ হয়নি। অর্থপাচার চলছে। ব্যাংকের টাকা লুট হয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে দুর্নীতি, লুটপাট বন্ধের দাবি জানান তিনি।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়