রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১২:৪৩, ৬ অক্টোবর ২০২২

ইলিশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

ইলিশ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে সময়োপযোগী এবং বাস্তবমুখী কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ইলিশের টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশের মানুষের কাছে ইলিশ সহজলভ্য করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

বৃহস্পতিবার মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়ন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছে। যার প্রভাব ইলিশেও পড়েছে। জেলেদের শ্রমিকের মজুরি, নৌকা ভাড়া, জালের দামসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বেড়েছে।

তিনি আরো বলেন, ইলিশ দেশের মানুষের নিরাপদ আমিষ যোগানের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও রফতানি আয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশে মোট উৎপাদিত মাছের প্রায় ১২ দশমিক ২২ শতাংশ ইলিশ। যা একক প্রজাতি হিসেবে সর্বোচ্চ। জিডিপিতে এর অবদান শতকরা ১ ভাগের বেশি।

শ ম রেজাউল বলেন, বাংলাদেশের ইলিশ এরই মধ্যে ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে ইলিশ আহরণে বাংলাদেশ শীর্ষে। বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮০ শতাংশের বেশি আহরিত হয় এ দেশের নদ-নদী, মোহনা ও সাগর থেকে। প্রায় ৬ লাখ মানুষ ইলিশ আহরণে সরাসরি এবং ২০-২৫ লাখ মানুষ ইলিশ পরিবহন, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রফতানিসহ নানা কাজে জড়িত।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রজনন সময় বিবেচনায় নিয়ে মৎস্য সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের সময় ২২ দিন করা হয়েছে। প্রধান প্রজনন মৌসুমে নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশ সমৃদ্ধ এলাকার জেলেদের জীবন ধারণের জন্য ভিজিএফ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হক প্রমুখ।

সর্বশেষ