রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪ , ১৩ চৈত্র ১৪৩০

নিউজ ডেষ্ক:-

প্রকাশিত: ১৮:৩৯, ৪ এপ্রিল ২০১৯

শিক্ষার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

শিক্ষার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, বর্তমান সরকার উচ্চ শিক্ষাসহ শিক্ষার সর্বস্তরে গুণগত মান উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। একই সঙ্গে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে জোর দেয়া হচ্ছে। যাতে করে বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত শিক্ষা মেলা-২০১৯ উদ্বোধনীতে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সবাইকে রাজনীতি বা দল করতে হবে তেমনটি নাও হতে পারে। তবে সবাইকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে। ভালো শিক্ষক-গবেষক বা ছাত্র হলেই চলবে না, ভালো-মন্দ বোঝার জন্য রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে। কোনটি অপরাজনীতি দেশের জন্য ক্ষতিকর সেটাও বুঝতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের এবং বিশেষ করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি, পরিবেশ, টেকসাই উন্নয়ন, আর্থ-সামাজিক, নগর ও গ্রামভিত্তিক গবেষণা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভিত্তিক গবেষণা, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ইতিহাস-ঐতিহ্য ভিত্তিক গবেষণা এবং চারু ও কারুকলার ওপরও গবেষণা পরিচালিত করছে। যার ইতিবাচক প্রভাব নগর থেকে গ্রামের সামাজিক ও আর্থিক উন্নয়নে বিশেষভাবে প্রভাব রাখছে। জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে, টেকসই উন্নয়নের সহায়তায় এবং সরকারের এসডিজি অর্জনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরে কয়েকশ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাও পরিচালিত হচ্ছে কয়েকটি নতুন উদ্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।

তিনি বলেন, আসলে শিক্ষা মেলার মাধ্যমে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষা ও গবেষণার ফলাফল জনসম্মুখে প্রদর্শন করার যে প্রচেষ্টা নিয়েছে এটা প্রাতিষ্ঠানিক দায়বদ্ধতার পরিচায়ক। বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান চর্চার পীঠস্থান হিসেবে তার সব গবেষণা ও উদ্ভাবনা উন্মুক্ত করবে, তুলে ধরবে, অবারিত করবে এটাই স্বাভাবিক।
 
মেলার মাধ্যমে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের গবেষণা উদ্ভাবন প্রদর্শন শিক্ষার্থীসহ সর্বসাধারণের জানার সুযোগ হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন। এ উদ্যোগের জন্য তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বিশেষ করে একটি একাডেমিক ভবন ও দুটি আবাসিক হল নির্মাণের ব্যাপারে উপাচার্যের উত্থাপিত প্রস্তাব প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশ পরিচালনার ভার যখন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা নিয়েছেন তখন শিক্ষাক্ষেত্রে তো বটেই কোনো ক্ষেত্রেই অপূর্ণতা থাকবে না। তবে তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতার অর্জনের ওপর জোর দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ ও মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. সারওয়ার জাহান, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. এম শাহ নওয়াজ আলী, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন, বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়াসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

মেলায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষ, মাস্টার্স ও পিএইচডি’র শিক্ষার্থীরা তাদের গবেষণার বিষয়বস্তু ৩০টি স্টলে পোস্টারের মাধ্যমে প্রদর্শন করেছে।

আলোকিত রাঙামাটি

সর্বশেষ