রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১৬:২৯, ১০ এপ্রিল ২০২১

আগাম পাহাড়ি কাঁঠালে বাড়ছে চাহিদা

আগাম পাহাড়ি কাঁঠালে বাড়ছে চাহিদা

মৌসুমী সব ধরনের ফলের একটা কদর বরাবরই থাকে। তবে যদি সে ফল মৌসুমের আগেই পাওয়া যায় তাহলে চাহিদা তার একটু বেশিই থাকে। পাশাপাশি সবার আগ্রহ থাকে বেশ।

বলছিলাম দেশের জাতীয় ফলখ্যাত আগাম কাঁঠালের কথা। মৌসুম শুরুর আগে বাজার সয়লাব এ ফলে। সিজনের আগে আসে বিধায় এ ফলের কদর খুব বেশি। তাছাড়া অনেকে শখ করে কাঁঠাল ক্রয় করে থাকেন। এতে লাভবান হন বিক্রেতা।

শনিবার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় সাপ্তাহিক বাজার ঘুরে দেখা যায়, আগাম কাঁঠালে সয়লাব প্রায় পুরো বাজার। উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে এসব কাঁচা-পাকা কাঁঠাল পরিবহন যোগে এনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। দর-কষাকষি করে কিনছেন ব্যবসায়ীসহ অনেকেই। দাম চড়া হলেও সাধারণ ক্রেতা ও পাইকাররা ভিড় করছেন বাজারে। পাকা কাঁঠালের চাহিদা থাকলেও পরিবহনের সুবিধার্থে কাঁচার চাহিদাই বেশি।

বাজারে আনারস এবং তরমুজ বেশ কিছুদিন আগেই এসেছে। এখন আসতে শুরু করেছে কাঁঠাল। তবে চাহিদা বেশি হওয়ায় দামও চড়া। এরপরও পাইকারি ব্যবসায়ীরা কাঁঠাল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন চটগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।

ক্রেতা আবির হোসেন জানান, আমি ১০টি কাঁঠাল কিনবো। নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠাবো, তবে দাম যাই হোক বিষমুক্ত কাঁঠাল নিশ্চিন্তে ক্রয় করা যায়।

কাঁঠাল বিক্রেতা আব্দুল্লাহ্ জানান, আমি তবলছড়ির বিভিন্ন স্থান থেকে আগাম কাঁঠাল বাগান ক্রয় করে থাকি। আজ তবলছড়ি থেকে এক পিকআপ কাঁঠাল নিয়ে এসেছি। এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। তাছাড়া দাম ভালো হওয়ায় লাভও বেশি হচ্ছে।

চট্রগ্রামের ব্যবসায়ী আজিম উদ্দিন জানান, শহরে পাহাড়ের আগাম কাঁঠালের বেশ চাহিদা থাকায় শখের বসে অনেকে অর্ডার দিয়ে রাখেন। মাটিরাঙ্গার কাঁঠাল বেশ সুস্বাদু এবং বিষমুক্ত। তাই এর চাহিদাও বেশি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা শেখ শাখাওয়াত হোসেন জানান, সাধারণত কাঁঠাল পাকা শুরু করে জুন থেকে, তবে এবার অগ্রিম কাঁঠালের ফলন হয়েছে বেশ। এতে করে কৃষক ও ব্যবসায়ী উভয়ে লাভবান হচ্ছেন।

আলোকিত রাঙামাটি