বান্দরবানের লামায় একই পরিবারের তিনজনকে হত্যার ঘটনায় আটক ৬
(ছবি: সংগৃহীত)
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- বান্দরবানের লামা উপজেলায় শিশুসহ একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্যের কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। শনিবার সকালে র্যাবের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এর আগে, শুক্রবার রাতে লামা পৌনসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের চম্পাতলী গ্রাম থেকে কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের স্ত্রী মাজেদা বেগম তার মেয়ে রাফি ও ১০ মাসের শিশুকন্যা নুরীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনার সময় অন্যের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ায় বেঁচে যান নুর মোহাম্মদ।
নিহত মাজেদা বেগমের মা লালমতি খাতুন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করা হয়েছে বলে লামা থানা পুলিশের পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান।
তারা হলেন- মাজেদার বড় বোন রাহেলা বেগম, রাহেলার স্বামী আব্দুর রশিদ, স্থানীয় নুর মোহাম্মদের ভাই শাহ আলম, আব্দুল খালেক, হাফেজ সাইদুর রহমান ও প্রতিবেশী রবিউল হোসেন।
পুলিশ বলছে, এটি ডাকাতির ঘটনাও হতে পারে। ঘরের আলমারি ও ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গেছে। লালমতি খাতুন তার মেয়ে মাজেদা ও নাতনি রাফির ১২ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার খোয়া যাওয়ার কথা বলেছেন। নুর মোহাম্মদের প্রথম স্ত্রীর বড় মেয়ে রাবেয়া ইয়াসমিন বলেছেন, বৃহস্পতিবারে তার মা মাজেদা বেগম ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা তুলেছিলেন। সেই টাকাও পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা পর্যন্ত মাজেদা বেগমের ঘরে আলো জ্বলতে ও লোকজনের কথা শোনা গেছে। সেই রাতের জন্য রান্না করা খাবার যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেছে। শুক্রবার সারাদিন ঘরের দরজা বন্ধ থাকায় ঈদ উপলক্ষে তারা কোথাও বেড়াতে গেছে বলে সবাই ধরে নিয়েছিল। সন্ধ্যায় মাজেদার দেবর আবদুল খালেক ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে উকি দিয়ে ভাবির লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন।
আলোকিত রাঙামাটি