রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১০:১৬, ২৬ মে ২০২১

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্রবেশদ্বারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার প্রবেশদ্বারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মূল প্রবেশদ্বারে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া গাছটি


গ্রীষ্মের অগ্নিঝড়া খরতাপে পুড়ছে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গাসহ গোটা দেশ। কাঠফাটা রৌদ্রে অতিষ্ঠ প্রাণ ও প্রকৃতি। বিশাল আকাশের কোথাও বিন্দুমাত্র মেঘ জমে নেই। এমন উত্তপ্ত রৌদ্রের মধ্যে মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মূল প্রবেশদ্বারে সৌন্দর্য্য ছড়াচ্ছে কৃষ্ণচূড়া গাছটি। সবুজ চিকন পাতা, ফাঁকে ফাঁকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল। দেখলেই যেন সবার চোখ জুড়িয়ে যায়।

কৃষ্ণচূড়া একটি বৃক্ষ প্রজাতির উদ্ভিদ। যার বৈজ্ঞানিক নাম ডেলোনিক্স রেজিয়া। এ গাছ চমৎকার পত্রপল্লব এবং আগুন ও লাল বর্ণের ফুলের জন্য বিখ্যাত।

এ গাছের সৌন্দর্য শুধুমাত্র পথচারীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তা নয়। বিভিন্ন ধরনের পাখি এ গাছে বিচরণ করে গান গাইতেও দেখা যায়।

গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়ার পাতা ঝরে গেলেও নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এটি চিরসবুজ। বাংলাদেশের শহর কিংবা গ্রামে এ সময় কৃষ্ণচূড়ার গাছে ঝলমলে রক্তিম ফুল ফুটে আছে। কিছু ফুল ঝরে পড়ে মাঝেমাঝে। কালবৈশাখির কালোমেঘের মধ্যেও উঁকি দেয় টকটকে লাল কৃষ্ণচূড়া ফুল।

 

কৃষ্ণচূড়া গাছটি এখন পথচারীদের বিশ্রামস্থল

 

এ পৌরসভায় প্রতিদিন শতশত লোকজন বিভিন্ন প্রয়োজনে সেবা নিতে আসে। গাছটি পৌরসভার প্রবেশদ্বারে হওয়ার ফলে পৌর ভবনের সৌন্দর্য্য বেশ ফুটে উঠেছে। তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে এ পৌরসভায় প্রতিদিন শত শত নাগরিক সেবা নিতে আসে। তারা এ গাছটি দেখে বেশ মুগ্ধ হন পাশাপাশি সেবা গ্রহণ শেষে গাছটির নিচে বসে একটুখানি বিশ্রাম নিতে ভুলেন না।

এ ছাড়াও মাটিরাঙ্গায় সাপ্তাহিক বাজারের দিনে এ পৌরসভার সম্মুখস্থানে ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য আম, কাঁঠাল নিয়ে বসেন। স্থানটি সৌন্দর্য বহন করে বিধায় এর আশেপাশে কলা, কাঁঠালের পসরা বসাতে প্রতিযোগিতা লেগে যায় তাদের।

পৌরসভায় সেবা নিতে আসা মায়া বিবি বলেন, আমাকে প্রায়ই বয়স্ক ভাতাজনিত কাজে পৌরসভায় আসতে হয়। গাছটি খুব সুন্দর লাগে তাই আসা যাওয়ার সময় একটু বিশ্রাম নেই।

 

কৃষ্ণচূড়া গাছটি পাখির কলকাকলিতে থাকে মুখর

 

মাটিরাঙ্গা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আলী বলেন, আমাকে প্রায় প্রতিদিন পোরসভায় আসতে হয় পৌর ফটকের সামনে এমন একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ পৌরসভা চত্বরকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছে।

মাটিরাঙ্গা পৌরমেয়র মো. সামছুল হক বলেন, কৃষ্ণচূড়া অবশ্যই প্রকৃতির শোভাবর্ধনকারী গাছ। তবে এর অনেক ভেষজ গুণ রয়েছে। যা আমাদের অনেকেরই অজানা। সৌন্দর্য ছড়ানো ছাড়াও গ্রীষ্মের খরতাপে ছায়াদান করে কৃষ্ণচূড়া গাছটি।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়