‘নেশাগ্রস্ত’ ছেলের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপ, বাবার নির্মম মৃত্যু
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ- খাগড়াছড়ি দীঘিনালার জামতলী বাঙালি পাড়ায় নেশাগ্রস্ত ছেলে জনির এলোপাথাড়ি দায়ের কোপে বাবার নির্মম মৃত্যু হয়েছে। প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাবা ছেলের মধ্যে ঝগড়া হতো বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩ টায় উপজেলার জামতলী বাঙালি পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মোঃ মিন্ট আলী (৫২)। তিনি উপজেলার জামতলী বাঙালি পাড়ার মোঃ মোবারক মিয়ার ছেলে। শুক্রবারদুপুর ৩ টায় তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয় বলে জানান মিন্টু আলীর বাবা মোবারক মিয়া। নিহত মিন্টু আলীর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বড় মেয়ে মিনারা (২৭) জানান, আমি বাবার রুমের পাশের রুমে শুয়ে ছিলাম হটাৎ বাবার রুমে একটি শব্দ শুনতে পাই। বাবার রুমে গিয়ে দেখি বাবা মাটিতে শুয়ে আছে। এদিকে পরবর্তীতে আমার মা আমাকে ডাকতে আসলে এসে দেখেন আমি কিছুই বলতে পারছি না। মা, বাবার মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখে হটাৎ দেখেন মাটিতে রক্ত ভেসে উঠেছে। এক পর্যায়ে মা অচেতন হয়ে পড়েন। পরবর্তীতে আমি ঘরের বাহিরে গিয়ে মানুষজন ডাকতে থাকি। তারপরে আর কিছুই বলতে পারিনাই।
নিহতের বাবা মোবারক মিয়া জানান, আমার ছেলেকে রক্তাক্ত অবস্থায় দীঘিনালা হাসপাতালে নিয়ে আসি।
দীঘিনালা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তবরত মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. মোঃ আবির জানান, মোঃ মিন্টু আলীকে তার বাবা মোবারক মিয়া হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মিন্টুমৃত্যু হয়েছে।
দীঘিনালা থানার উপ-পরিদর্শক শেখ মিল্টন রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহত মিন্টু আলীর শরীরে তিনটি দায়ের কোপ রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ হেফাজতে রয়েছে, ছেলেকে আইনের আওতায় আনতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত।
আলোকিত রাঙামাটি