রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আলোকিত রাঙ্গামাটিঃ-

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ৪ মে ২০২২

খাগড়াছড়িতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পাহাড়ি সড়কে ধাতব আয়না লাগালো সওজ

খাগড়াছড়িতে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে পাহাড়ি সড়কে ধাতব আয়না লাগালো সওজ

খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা ২০ কিলোমিটার সড়কে ৫৭টি বাঁক রয়েছে। সড়কটি দিয়ে দীঘিনালা, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, লংগদুসহ তিনটি উপজেলা ও সাজেক পর্যটনকেন্দ্রে প্রতিদিন কয়েক শত যানবাহন চলাচল করে।

এ সড়কে প্রায়ই যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এবার পাহাড়ি উঁচুনিচু আঁকাবাঁকা সড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর পরীক্ষামূলকভাবে চারটি স্থানে ধাতব আয়না (উত্তল দর্পণ) লাগিয়েছে। আয়না লাগিয়ে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সফলতাও পাওয়া যাচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন বাঁকে আরো আয়না লাগানো হবে বলে জানিয়েছে সওজ।

সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক দীঘিনালার অটলটিলা, আট মাইল, সাত মাইল ও জেলা সদরের নেন্সী বাজার এলাকায় গোলাকার চারটি ধাতব আয়না স্থাপন করা হয়েছে। আয়না দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত এপাশ-ওপাশের গাড়ি দেখা যায়। আয়নায় আঁকাবাঁকা সড়কের অনেক দূর পর্যন্ত দেখতে পাওয়ায় চালকেরা দুর্ঘটনা এড়াতে সহায়তা পাচ্ছেন।

বাস চালক মো. আফসার বলেন, অটলটিলা, আট মাইল, সাত মাইল এলাকা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও বেশি আঁকাবাঁকা। এ এলাকায় প্রায় সময় গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এখন আয়না স্থাপন করায় অনেক দূরে উভয় পাশের গাড়ি দেখা যায়।

ট্রাক চালক শাহ আলম বলেন, অটলটিলা এলাকাটি পাহাড়ি উঁচুনিচু ও আঁকাবাঁকা। আগে পাহাড়ে ওঠানামার সময় এপাশ থেকে ওপাশের গাড়ি দেখা যেত না। সে কারণে দুর্ঘটনাও বেশি হতো। আয়না লাগানোর ফলে অনেক দূর পর্যন্ত গাড়ি দেখা যাচ্ছে।

পিকআপ চালক নয়ন ত্রিপুরা, কানু দেবনাথ ও পরেশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আয়না লাগানোর কারণে তাদের জন্য ভালো হয়েছে।

খাগড়াছড়ি সওজ অধিদফতরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমরা দীঘিনালা-খাগড়াছড়ি সড়কের চারটি স্থানে গোলাকার ধাতব আয়না স্থাপন করেছি। একটি আয়নায় এক লাখ টাকার কাছাকাছি ব্যয় হয়। আমরা এ সড়কে ধাপে ধাপে আরো ধাতব আয়না স্থাপন করবো। 

সম্পর্কিত বিষয়: