রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১১:২৩, ১ নভেম্বর ২০২১

‘জ্ঞান-বিজ্ঞান বিস্তারের মধ্য দিয়েই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব’

‘জ্ঞান-বিজ্ঞান বিস্তারের মধ্য দিয়েই দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব’

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করতে হলে সর্বোচ্চ পন্থা হচ্ছে শিক্ষার উৎকর্ষতা নিশ্চিত করা। পুঁজি বাজার বিস্তারের মধ্যদিয়ে নয়, জ্ঞান-বিজ্ঞান বিস্তারের মধ্য দিয়েই একটি দেশের প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব। আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মধ্য দিয়ে যে বাংলাদেশ সৃষ্টি করতে চাই, সেটি হবে ভিন্ন মাত্রিক। গৎবাধা পুঁজি বাজারের সংস্কৃতির যে উন্নয়ন, সেটি আমাদের কাক্সিক্ষত উন্নয়নের লক্ষ্য নয়; আমাদের লক্ষ্য শোষণমুক্ত, আদর্শ ও কল্যাণকর রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা। সেই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হলে জবাবদিহিতার বিকল্প নেই।

রোববার (৩১ অক্টোবর) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভিসি।

কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি মানুষকে সৎ এবং দক্ষ হওয়ার আহবান জানিয়ে ভিসি বলেন, কর্মক্ষেত্রে প্রতিটি ব্যক্তি যদি সততা এবং দক্ষতায় অনন্য নজির স্থাপন করতে পারে তাহলে আগামী এক দশকে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছাবে। বিশ্বাস করি বাংলাদেশের উন্নয়ন ও পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখবে এই বিশ্ববিদ্যালয়। এ কারণে আমি বিভাগীয় প্রধানদের আহবান জানাবো- প্রত্যেকটা দফতরে কাজের সর্বোচ্চ পরিবেশ নিশ্চিত করা। কেউ যেন কর্মঘণ্টায় ফাঁকি দিতে না পারে। এজন্য আপনাদের কঠোর দৃষ্টিভঙ্গি নিশ্চিত করতে হবে। 

ভিসি আরো বলেন, আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষার ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর দায়িত্ব আমাদের। আমাদের কাছে মানুষের প্রত্যাশাটা অভাবনীয়। সেই জায়গা থেকে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে মূলত গরিব মানুষের পয়সায় আমরা নিশ্চিত জীবন-যাপনের সুযোগ পাই। আমাদের পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে- বাকি যারা অনিশ্চিত জীবন-যাপন করছেন তাদের জীবন নিশ্চিত করা। আমরা যারা ফরমাল অকুপেশনে আছি, সবাই প্রিভিলেজড। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে আন্ডার প্রিভিলেজড মানুষদেরকে টেনে তোলা। এটি করতে পারলে সমতার বাংলাদেশ নির্মিত হবে। প্রকৃত অর্থে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। আমাদের সেবা দানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়েই মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর চেতনার বাংলাদেশ পাবো-এটিই আমাদের প্রত্যাশা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদারের সভাপতিত্বে কর্মশালায় রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) জেনারেল সার্ভিসেস, এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভুইয়া, স্নাতকোত্তর শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের ডিন প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শুদ্ধাচার দফতরের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জয়ন্ত ভট্টাচার্য্য। দিনব্যাপী চলা কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দফতরের বিভাগীয় প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়