রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:২৯, ৫ মার্চ ২০২৩

দেশে প্রথম ইলিশ-টুনার কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন

শেকৃবি গবেষণা

দেশে প্রথম ইলিশ-টুনার কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন

বাংলাদেশে প্রথমবারের মত ইলিশ ও টুনা মাছের ক্যানিং বা কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। মাছ সংরক্ষণ, বিপণন ও দেশের বাইরে রপ্তানি বৃদ্ধি করার লক্ষে কৌটাজাতকরণ করা হয় বলে জানা গেছে।

এ গবেষণার নেতৃত্ব ছিলেন অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব। সহযোগী গবেষক হিসেবে ছিলেন মো. মাসুদ রানা।

জানা গেছে, দেশে আহরিত ইলিশের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে উৎপাদনও। আহরিত এই মাছের কৌটাজাতকরণ ও বাজারজাত করণের মাধ্যমে বাজারদরও বৃদ্ধি পাবে। এরসঙ্গে সারাবছর জনগণের পুষ্টিচাহিদা পূরণে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। এ থেকে অর্জিত আয় এর সুফল প্রান্তিক জেলেরা পর্যন্ত পাবে। 

মানুষের ব্যস্ততা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বর্তমানে রেডি-টু-ইট এবং রেডি-টু-কুক খাদ্যের চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যস্ততম শহরে মানুষের ব্যস্ততম জীবনে শেকৃবি কর্তৃক উদ্ভাবিত ইলিশ ও টুনা মাছের কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তিটি ব্যাপক সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র হয়ে উঠবে বলেই গবেষকদের অভিমত।

নতুন এই প্রযুক্তিতে কৌটাজাতকৃত ইলিশের বিশেষত্ব হচ্ছে এই ইলিশের কাটা নরম হয়ে মাংসের সঙ্গে এমনভাবে মিশে যায় যে, এতে কাটা বেছে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। উপরন্তু নরম কাটা দেহে ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হবে।

অপরদিকে বাংলাদেশে অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় টুনা মাছের বাজারদর অনেকাংশেই কম। এই দেশের উপকূলীয় সামুদ্রিক এলাকায় প্রচুর টুনা ধরা পড়ে যা বাজারে খুব কম দামে বিক্রয় হয়। অনেক সময় ক্রেতার অভাবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অথচ কৌটাজাতকৃত টুনা মাছ বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়।

জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ কৌটাজাতকৃত টুনা ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ নিজের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে। এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের দেশের এই টুনাও কৌটাজাত করণের একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে গবেষকরা আশা করছেন।

সম্ভাবনাময় কৌটাজাতকরণ এই প্রযুক্তির বিষয়ে প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব বলেন, ‘প্রযুক্তিটি স্বল্প ব্যয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে আয় বাড়াতে পারেন।’

সহযোগী গবেষক মো. মাসুদ রানা জানিয়েছেন যে, শেকৃবির ফিশ নিউট্রিশনাল বায়োলজি ল্যাবরেটরিতে উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছের স্বাদ, মান, নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধির জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে।’

তিনি আরো উল্লেখ করেন, ‘প্রযুক্তিটি স্বল্প ব্যয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আয় বাড়াতে পারেন। সহযোগী গবেষক মো. মাসুদ রানা জানিয়েছেন যে, শেকৃবির ফিশ নিউট্রিশনাল বায়োলজি ল্যাবরেটরিতে উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছের স্বাদ, মান, নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধির জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে।’

বাংলাদেশের কৌটাজাত খাদ্যশিল্পে ইলিশ ও টুনার এই কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তি খাদ্যশিল্পে নতুন একটি সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি করবে বলেই গবেষকরা আশা করছেন।

সর্বশেষ