রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৩:৩০, ১ মে ২০২১

মান্না দে’র ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী আজ

মান্না দে’র ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী আজ

ফাইল ছবি


সুরের বরপুত্র, উপমহাদেশীয় কিংবদন্তি শিল্পী মান্না দে’র  ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯১৯ সালের ১ মে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। ছয় দশকের সংগীত ক্যারিয়ারে তিনি বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, গুজরাটিসহ অসংখ্য ভাষায় সাড়ে তিন হাজারে বেশি গান গেয়েছেন।

ছোট থেকেই সঙ্গীতের জগতে বেড়ে উঠা মান্না দের। মা মহামায়া এবং বাবা পূর্ণা চন্দ্র দে তো ছিলেন, তবে মান্না দে’র সঙ্গীতের আসল অনুপ্রেণা তাঁর কাকা সঙ্গীতাচার্য কৃষ্ণ চন্দ্র দে। ১৯৪২ সালে মাত্র ২৩ বছর বয়সে কাকার হাত ধরে বোম্বাই (বর্তমানে মুম্বাই) আসেন মান্না দে। সেই বছরই কাকার সঙ্গীত পরিচালনায় তামান্না সিনেমাতে একটি ডুয়েট গান করেন তিনি। সেটাই ছিল তার বলিউড ডেব্যিউ। এরপর আট দশক দীর্ঘ কেরিয়ারের ৪ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করেছেন তিনি।

সোলো গায়ক হিসাবে তার প্রথম ব্রেক আসে রাম রাজ্য সিনেমাতে। ‘গায়ি তু তো গায়ি সীতা সতী’ গানটি রেকর্ড করেন মান্না দে। ১৯৪৩ সালে মুক্তি পায় এই সিনেমা। জানা যায় স্বয়ং গান্ধীজি এই সিনেমাটি দেখেছিলেন। মান্না দে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন ১৯৫৩ সালে দো বিঘা জমি মুক্তির পর। সলিল চৌধুরীর কম্পোজিশনে এই সিনেমাতে গান গেয়েছিলেন তিনি।

১৯৬৯ সালে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে সেরা গায়কের স্বীকৃতি পান মান্না দে। মেরে হুজুর সিনেমার জন্য আসে এই সম্মান। ১৯৯২ সালে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে অলবিদা জানান মান্না দে, তবে বাংলা সিনেমা এবং একক সঙ্গীতের কাজ জারি রেখেছিলেন এই প্রবাদপ্রতিম শিল্পী।

ভারতীয় সঙ্গীত জগতে অসামান্য অবদানের জন্য বহু সম্মান পেয়েছেন মান্না দে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মশ্রী, পদ্মভূষণ এবং দাদা সাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে তাকে।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়