এ বছর রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ
ছবি: সংগৃহীত
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, গত অর্থবছরে আমাদের রফতানি আয় ছিলো ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বছর সেবাখাতসহ রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ৬৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের রফতানি বাজার বহুমুখীকরণ করতে হবে, এক্ষেত্রে বেসরকারিখাতের উদ্যোক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে।
শনিবার রিসারজেন্ট বাংলাদেশ আয়োজিত ‘কোভিড-১৯ সময়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য: বাংলাদেশে-এর প্রভাব এবং উত্তরণ’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, করোনার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং তার প্রভাব আমাদের অর্থনীতিতেও এসেছে। তিনি চীনের বাজারে বাংলাদেশের ৮২৬৫টি পণ্যের শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা কাজে লাগানোর আহ্বান জানান। তথ্য-প্রযুক্তি খাতসহ ৩৭টি পণ্যে ১০ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ প্রদান করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আয়োজিত ওয়েবিনার ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- ঢাকা চেম্বারের সভাপতি শামস মাহমুদ।
মূল প্রবন্ধে তিনি উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংক ২০২০ সালে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যথাক্রমে ৩ শতাংশ ও ২.১ থেকে ৩.৯ শতাংশ কমে যাওয়ার প্রাক্কলন করেছে। অন্যদিকে এডিবি মনে করে বর্তমান পরিস্থিতিতে বৈশ্বিক জিডিপি ৫.৮ ট্রিলিয়ন থেকে ৮.৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার কমে যেতে পারে।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বিশ্বের বেশ কিছু বড় কোম্পানি চীন থেকে তাদের কারখানা এবং ক্রয়াদেশ সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করছে, যেটি আমাদের দেশের জন্য বড় সুযোগ এবং এ ধরনের সুযোগ গ্রহণে আমাদের কার্যকর উদ্যোগ এখনই গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বন্দর থেকে মাল খালাসের ধীরগতির কারণে উদ্যোক্তাদের ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে আমরা প্রতিনয়তই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা হারাচ্ছি। সম্প্রতি চীন বাংলাদেশি ৮২৫৬টি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদান করছে। এ সুবিধা গ্রহণে আমাদের আরো উদ্যোগী হওয়া প্রয়োজন বলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি মত প্রকাশ করেন। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশের অবস্থান আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ইকোনোমিক ডিপ্লোমেসির উপর আরো গুরুত্ব প্রদান এবং এফটিএ, পিটিএ ও টিকফা প্রভৃতি চুক্তির দ্রুততম বাস্তবায়নের আহ্বান জানান ডিসিসিআই এর সভাপতি।
আলোকিত রাঙামাটি