রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ , ৪ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:৫৩, ৩১ অক্টোবর ২০২২

আজ বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস

আজ বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস

৩১ অক্টোবর, আজ বিশ্ব মিতব্যয়িতা দিবস। প্রতিবছর ৩১ অক্টোবর এই দিবসটি পালন করা হয়। মিতব্যয়ি হওয়ার আহ্বান জানানোর মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। প্রতিবছর এই দিনে পরিবার ও জাতির কল্যাণে সবাইকে মিত্যব্যয়ি হওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়।

এই দিবসটির উদ্ভব হয় ১৯২৪ সালে। সেই বছর মিলানে বিশ্বের বিভিন্ন সঞ্চয় ব্যাংকের প্রতিনিধিদের প্রথম বিশ্ব কংগ্রেসের গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দিবসটি পালন শুরু হয়। সেই থেকে সঞ্চয় ব্যাংকগুলো আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালন করে। মিতব্যয় ও সঞ্চয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করার উদ্দেশ্যে পালন করা হয় দিবসটি। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশের নাগরিকদের জন্য মিতব্যয়িতার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। কারণ এদেশের মানুষের মধ্যে অপচয়ের প্রবণতা প্রকট। অপচয়কারীরা ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কিছুই করতে পারেনা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মিতব্যয়িতা মানে হলো ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংযম বা আয় বুঝে ব্যয়। ব্যয়ের ক্ষেত্রে মধ্যমপন্থা অবলম্বনও মিতব্যয়িতার অর্থ। প্রতিবছর বিশ্বে প্রায় ১৩০ কোটি টন খাদ্য নষ্ট হয়, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ লাখ কোটি টাকা। অথচ বিশ্বে প্রতিদিন ১৭ কোটি মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটায়। সমাজের উঁচু শ্রেণির মানুষ অপচয় করে কোটি কোটি টাকার খাবার। আর এর মাশুল দিতে হয় পথের পাশের মানুষগুলোকে। তাই আসুন আমরা সবাই ব্যয়ের ক্ষেত্রে অপব্যয় পরিহার করি।

অপচয়কারীরা নিজের জন্য তো নয়ই, বরং সমাজ, পরিবার ও জাতির জন্যও কিছু করতে পারে না। বিজ্ঞানী ফ্রাকলিনের এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ছোট ছোট ব্যয় সমদ্ধে সাবধান হও। একটি ছোট ছিদ্র মস্তো বড় জাহাজকে ডুবিয়ে দিতে পারে’। 

অর্থব্যয়ের তিনটি ধরণ হচ্ছে-কার্পণ্য, মিতব্যয় এবং অপব্যয়। কার্পণ্য ও অপব্যয়কে ইসলাম নিন্দা জানিয়েছে। আর উৎসাহিত করেছে মিতব্যয়কে। আমাদের সমাজে দিনদিন বেড়ে চলেছে অপব্যয়কারীর সংখ্যা। 

উল্লেখ্য, সঞ্চয়ের জন্য ধনী হওয়ার প্রয়োজন নেই। প্রত্যেক মানুষের একটি সুন্দর জীবনের স্বপ্ন থাকে। এই স্বপ্ন থেকেই জন্ম নেয় প্রত্যয়। দৃঢ় প্রত্যয় থেকেই গড়ে ওঠে সঞ্চয়ের প্রবনতা।