রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৫:৩৭, ৩০ অক্টোবর ২০১৯

মৃত বাবার নম্বরে প্রতিদিন মেসেজ, উত্তর এলো ৪ বছর পর!

মৃত বাবার নম্বরে প্রতিদিন মেসেজ, উত্তর এলো ৪ বছর পর!

ছবি: সংগৃহীত


যুক্তরাষ্ট্রের আর্কানসাস এলাকার নিউপোর্টের বাসিন্দা তেইশ বছর বয়সী চেস্টিটি প্যাটারসন নামে এক তরুণী দুর্ঘটনায় বাবাকে হারান। বাবার মৃত্যুতে তাকে বেশ ব্যতিত করে। সবসময় বাবার কথা মনে পড়ে।

বাবাকে হারিয়ে যেন এক অসহনীয় যন্ত্রনায় কাতর ছিলেন তিনি। সেই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে উত্তর পাওয়া অসম্ভব জেনেও প্রতিদিন বাবার নম্বরে মেসেজ করতেন চেস্টিটি। তার সেখানেই ঘটল মিরাকল। অজান্তেই এক বাবার ভরসা হয়ে উঠলেন তরুণী।

বাবার মৃত্যুর পর চার বছর ধরে প্রতিদিন বাবাকে মেসেজ পাঠিয়েছেন চেস্টিটি। এই কষ্ট তিনি কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারেননি।

যেদিন ক্যান্সারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর সুস্থ হয়ে উঠলেন চেস্টিটি, সেদিন আরো দীর্ঘ হয়েছিল বাবার উদ্দেশ্যে লেখা তার মনের কথা।

চেস্টিটি লিখেছিলেন- চার বছর হয়ে গেল- তুমি নেই। তবে এমন কোনো দিন নেই, যেদিন আমি তোমাকে মিস করি না। তোমাকে যখন আমায় সবচেয়ে দরকার ছিল, তখন তোমার পাশে থাকতে পারিনি, আমি সরি! কিন্তু একদিন নিশ্চয় আমরা একসঙ্গে বসে আমাদের ফেভারিট ম্যাচ দেখার সুযোগ পাব।

একদিন আচমকাই বাবার নম্বর থেকে মেসেজ পেলেন তরুণী। বিস্ময় ভরা চোখে মেসেজটি খোলেন চেস্টিনি। সেখানে লেখা ছিল- আমি ব্র্যাড। নাহ আমি তোমার বাবা নই। কিন্তু শেষ চার বছরে প্রতিদিন তোমার পাঠানো মেসেজ আমার কাছে এসেছে।

২০১৪ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় আমার একমাত্র মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। এর পর তোমার মেসেজই আমায় বেঁচে থাকতে সাহায্য করেছে। তোমার মেসেজ পেলে মনে হয় আল্লাহর বার্তা। 

প্রথমে নিজেও কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি চেস্টিনি। কিন্তু তার পাঠানো মেসেজ যে এক বাবার বেঁচে থাকার রসদ হতে পারে তা ভেবেই এক অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছে তার।

অপরিচিত দুই বাবা-মেয়ের কথোপকথন সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে আবেগে ভেসে গেছেন নেটিজেনরা। 

আলোকিত রাঙামাটি