রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

আপডেট: ১২:৫৭, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২

কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘আই ভিশন সেন্টার’ চালু

​​​​​​​চক্ষু চিকিৎসায় নতুন দ্বার উন্মোচিত

কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘আই ভিশন সেন্টার’ চালু
কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনৈক রোগীকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।

কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলতি মাস থেকে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চালু হয়েছে কমিউনিটি ‘আই ভিশন সেন্টার’।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সমগ্র রাঙামাটি জেলার মধ্যে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান, কাপ্তাই স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাসুদ আহমেদ চৌধুরী।

এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও জানান, হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চালুকৃত এই সেন্টারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনবল দ্বারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে চক্ষু চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। রোগীরা হাসপাতালের বর্হিবিভাগের টিকেট কেটে মাত্র ৩ টাকায় চক্ষু সেবা গ্রহণ করতে পারছেন। এই সেন্টারে অত্যাধুনিক মেশিনের সাহায্যে চোখের রোগ নির্ণয়, চোখের চশমার পাওয়ার নির্ধারণসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা চালু রয়েছে। এছাড়া অত্যন্ত জটিল রোগীরা এই হাসপাতাল হতে অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ ওমর ফারুক রনি বলেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলের জনগণের স্বাস্থ্য সেবাকে আরও বেগবান করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই কমিউনিটি আই ভিশন সেন্টার চালুর মাধ্যমে সাধারণ জনগণ অত্যন্ত স্বল্পখরচে চক্ষু চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন। ফলে কাপ্তাইসহ আশেপাশের এলাকার মানুষের জন্য এ অঞ্চলে অত্যন্ত অপ্রতুল চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তির নতুন ঠিকানা হবে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।’

এদিকে, কাপ্তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা কাপ্তাইয়ের মোঃ শাহেদের সাথে আলাপকালে তিনি জানান, চোখের প্রদাহ নিয়ে হাসপাতালে সেবা গ্রহণ করতে এসেছেন। তিনি বলেন, এই হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা সেবা চালু হওয়ায় তিনি চিকিৎসা ও একইসাথে বিনামূল্যে হাসপাতাল থেকে সরবরাহকৃত ওষুধ পেয়েছেন।’

হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী আমেনা বেগম, চোখে সঠিকভাবে দেখতে অসুবিধা নিয়ে চিকিৎসার জন্য আসেন। তাকে উক্ত সেন্টারে চোখের পরীক্ষা করে চশমার পাওয়ার ঠিক করে দেয়া হলে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেন এবং স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।