রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:৪২, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ডিমের ভালো-মন্দ

ডিমের ভালো-মন্দ

প্রতিদিন একটা করে ডিম খাচ্ছেন। এতে ভালো হচ্ছে-নাকি খারাপ হচ্ছে? বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডিমের কুসুম খেলে ওজন বাড়ে না, বরং কমে-ই। আমাদের শরীরের জন্য উপকার করে আস্ত একটা ডিম। পুষ্টিবিদরা বলছেন, ডিমের মধ্য যে কুসুমটি থাকে তাতে ভিটামিন-বি ও অ্যামিনো অ্যাসিডে থাকে ভরপুর।

এই উপাদানগুলো আমাদের চর্বি জমতে দেয় না। আবার মস্তিষ্কের জন্য পুষ্টিকরও বটে। প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়া ভালো না খারাপ, সে সিদ্ধান্তে আসার আগে সবচেয়ে জরুরি ডিমের ভালো এবং খারাপ জেনে নেয়া।

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে কেউ যদি রোজ দুইটা করে ডিম খান, তা হলে সরাসরি শরীরকে প্রভাবিত করে। ডিম আমাদের রক্তে লোহিত রক্ত কণিকার মান বাড়ায়। ডিমের কুসুম ভিটামিন -বি ও অ্যামিনো অ্যাসিডে ভরপুর। এই উপাদানগুলো পেশিতে চর্বি জমতে দেয় না। এ ছাড়া এর মধ্যে রয়েছে কোলিন, যা মেটাবলিজম পদ্ধতিকে ঠিক রাখে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একটা সেদ্ধ ডিম থেকে প্রায় ৭৫ কিলো ক্যালরি পাওয়া যায়। আর পাওয়া যায় ৭ গ্রাম প্রোটিন। এছাড়া আয়রন, মিনারেল পাওয়া যায়  একটা ডিম থেকেই।

ওজন কমাতে হলে ডিম খাওয়া যায়: পুষ্টিবিদদের মতে, ডিমের প্রোটিন এবং ফ্যাট আদতে শরীরের ওজন কমানোর জন্য উপকারী। এছাড়া ডিম খেলে পেট ভরে থাকে দীর্ঘক্ষণ। তবে কোন সময়ে ডিম খাচ্ছেন সেটাই খেয়ার রাখতে হবে। রোজ সকালের নাস্তায় ডিম খেলে মেটাবলিজম ভালো থাকে খাই খাই অভ্যাস বশে আসবে। কাজেই, যারা ব্রেকফাস্টে একটা গোটা ডিম খান তারা সারাদিন কম খেয়ে থাকেন। সুতরাং ভয় ভুলে ডিম খান।

তাহলে কী প্রতিদিন ডিম খাবেন: বিশেষজ্ঞরা বলেন প্রতিদিন ডিম খাওয়া শুধু ভালোই নয়, বরং অত্যন্ত জরুরিও বটে। কিন্তু কেউ যদি রোজ চার-পাঁচটা করে ডিম খান, তাহলে মুশকিল। আবার ডিম কেমন করে খাচ্ছেন সেটাও জানা জরুরি। যেমন ডিমকে কষা বনিয়ে খেলেন তাহলে উপকারের পাশাপাশি শরীরের ক্ষতিও হবে। যা-ই খান, তাতে যেন রাশ থাকে। সব খাবারেই বেশি ভালো ও খারাপ মেলানো মেশানো থাকে। তা শরীরের ক্ষতি করবে না এবং স্বাস্থ্যকর হবে, সেটা নিজেকেই দেখতে হবে।

ডিম খেতে গিয়ে খোসা মুখে পড়লে কি ক্ষতিকর: আমরা রোজ ডিম খেতে গিয়ে ডিমের খোসা ফেলে দিই। ডিমের খোসার রয়েছে নানা উপকারিতা আর বহুমুখী ব্যবহার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গিঁটেবাত, হাড়ের ক্ষয়, হাড় ফাঁপা মতো সমস্যায় কাজে লাগে এই ডিমের খোসা। কম খরচে ডিমের খোসা থেকে তৈরি ক্যালসিয়াম পাউডার আমাদের দৈনিক ক্যালশিয়ামের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করে।

কী কী পাওয়া যায় এই ডিমের খোসা থেকে: এক চা–চামচ ডিমের খোসার পাউডার থেকে ৮০০-১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম পাওয়া যায়। একজন সুস্থ–স্বাভাবিক মানুষের দিনে ৫০০ থেকে ১০০০ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম গ্রহণ করা উচিত। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়ের জন্য বেশি উপকারি।

ডিমের খোসার চূর্ণ খেলে কী কী পাওয়া যায়: বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ডিমের খোসায় যে ক্যালশিয়াম কার্বনেট থাকে, তা আমাদের হাড় ও দাঁত মজবুত করতে সাহায্য করে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই আমাদের শরীরে উপকার করে। এছাড়া পেশির ভালো রাখতে, স্নায়ুতন্ত্র ভালো রাখতে ও শরীরের কোষগঠনে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে।

সূত্র: এই সময়

জনপ্রিয়