রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রকাশিত: ১২:৫৩, ১৯ জুলাই ২০২১

হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ছবি: সংগৃহীত


১৯ জুলাই, হুমায়ূন আহমেদের নবম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর তাকে নেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। ২০১২ সালের ১৬ জুলাই লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। এ বছরের আজকের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টায় মারা যান তিনি। এরপর ২৩ জুলাই ফিরিয়ে আনা হয় হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ। ২৪ জুন তাকে দাফন করা হয় গাজীপুরের নুহাশপল্লীর লিচুতলায়।

বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় এই লেখক হাজারো পাঠকের মনে অমর হয়ে আছেন। তাকে ঘিরে গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে কিছু আয়োজন থাকছে আজ। নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, আজ সকালে নুহাশপল্লীতে কুরআন খতমের আয়োজন করা হয়েছে। এরপর হুমায়ূন আহমেদের মাজারে ফুল দেয়া হবে। হুমায়ূনপত্নী মেহের আফরোজ শাওন আজ সকালে নুহাশপল্লীতে যাবেন।

১৯৭২ সালে হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ প্রকাশের পরপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। উপন্যাসে ও নাটকে তার সৃষ্ট চরিত্রগুলো বিশেষ করে ‘হিমু’, ‘মিসির আলী’, ‘শুভ্র’ তরুণ-তরুণীদের কাছে হয়ে ওঠে অনুকরণীয়। জনপ্রিয়তার জগতে তিনি একক ও অনন্য।

তার পরিচালিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘দুই দুয়ারী’, ‘চন্দ্রকথা’ ও ‘নয় নম্বর বিপদসংকেত’, ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ প্রভৃতি।

বাংলা সাহিত্যে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৯৪ সালে ‘একুশে পদক’ লাভ করেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৮১), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৯০), লেখক শিবির পুরস্কার (১৯৭৩), জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯৩ ও ১৯৯৪), বাচসাস পুরস্কার (১৯৮৮) লাভ করেন।

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ডাকনাম কাজল। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের প্রথম সন্তান তিনি। বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা আর মা গৃহিণী। তিন ভাই ও দুইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। কথাসাহিত্যিক জাফর ইকবাল তার ছোট ভাই। সবার ছোট ভাই আহসান হাবীব নামকরা কার্টুনিস্ট ও রম্যলেখক।

আলোকিত রাঙামাটি