রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেষ্ক:-

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ৫ ডিসেম্বর ২০১৮

আপডেট: ০০:০০, ৩০ নভেম্বর ১৯৯৯

‘রাজনৈতিক অনাস্থা সাংস্কৃতিক সমস্যা হয়ে গেছে’

‘রাজনৈতিক অনাস্থা সাংস্কৃতিক সমস্যা হয়ে গেছে’

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, মনোনয়ন বাতিল নিয়ে বিরোধীদল থেকে যে মন্তব্যগুলো আসছে, এগুলো দীর্ঘদিনের অনাস্থা-অবিশ্বাস এবং একে অপরকে দমিয়ে রাখার যে প্রবণতা, সেগুলোর ওপর ভিত্তি করেই আসছে।  
একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টক’শোতে তিনি আরো বলেন, এমন না যে, আজকে হঠাৎ করেই নমিশন বাতিল হয়ে যাবার পরই বিএনপি অভিযোগ করছে। নিশ্চয়ই কারো মনোনয়ন বাতিল হলে কেন বাতিল হলো সেটা পরিষ্কার করার একটি ব্যাপার থাকে। স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করার জন্য যা যা করণীয় সেটা করতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই। সে দায়িত্বটি নির্বাচন কমিশনের।
তিনি বলেন, অনাস্থা-অবিশ্বাসের দায় এককভাবে কারো ওপর দেয়া যায় না। অনেকদিন ধরে চলে আসছে দেখে এটা আমাদের একটা সাংস্কৃতিক সমস্যা হয়ে গেছে। যে সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে তা মানুষের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরার দায়িত্ব তাদের, যারা ড্রাইভিং সিটে বসেন বা যাদের ওপর পরিচালনার দায়িত্ব থাকে। মানুষের সামনে এই সংস্কৃতিটা মানুষের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরার দায়িত্ব যারা আজকে ক্ষমতায় আছেন, যারা দশ বছর দেশ পরিচালনা করে আসছেন, সন্দেহগুলো নিরসন করা তাদের ওপর ছিলো। এখন অনাস্থা দূর করার দায়িত্বটি মূলত নির্বাচন কমিশনের ওপরই পড়বে যে, তারা কিসের জন্য কী কাজটা করছেন।
 
তিনি আরো বলেন, যদি অভিযোগ আসে, সেই অভিযোগকে খন্ডন করার একটি দায় থাকে। মনে রাখতে হবে, নির্বাচন কমিশন একটি জনপ্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন জনগণের হয়ে কাজ করছে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত স্বচ্ছ-ভাবমূর্তি রক্ষা করার দায়িত্ব তার নিজের। সেখানেই বিরোধীদলের অভিযোগ খন্ডন  প্রশ্নটা আসে। একইভাবে যারা অভিযোগ করছেন তাদেরও দায় থাকে যে, অভিযোগ প্রমাণ করার। এখন প্রত্যেক পক্ষ একপক্ষ অপরপক্ষকে বলছে যে, ‘এটা তাদের নীলনকশা’। অভিযোগকারী তার অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ না করলে এবং যার ওপর অভিযোগ আসে, সে যদি অভিযোগ খন্ডন না করে আমরা সাধারণ জনগণ বিভ্রান্ত হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।
সুলতানা কামাল বলেন, নির্বাচন কমিশনের অবশ্যই দায়িত্ব রয়েছে মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠার। আমি একটি রাজনীতি সমর্থন করতে পারি, একটা রাজনীতি পছন্দ নাও করতে পারি। আমি সাংঘাতিকভাবে মনে করতে পারি, জামায়াতের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, জামায়াতও সেখানে আছে। কাজেই এতসবকিছুর মধ্যে যে প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সবাইকে সমান সুযোগ দিয়ে নির্বাচনটা পরিচালনা করার, তাদেরকে কিন্তু আমাদের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে, তারা আমাদের সবাইকে সমান সুযোগ দিচ্ছে।
এই মুহূর্তে একটি পদক্ষেপ নিতে গিয়ে কী হচ্ছে না হচ্ছে সেটার ওপরই নির্ভর করেই কেউ কারো ওপর কথা বলছে না। এটাই আমাদের দুর্ভাগ্য। বিরোধীদলের অভিযোগ কতখানি সত্য তা বুঝা যাবে নির্বাচন কমিশন কাজের মধ্য দিয়ে নিজেদেরকে কতখানি পরিষ্কার দেখাতে পারে তার ওপর।

আলোকিত রাঙামাটি