রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১৩:২৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

ইসলামী ব্যাংকে গ্রাহকের আমানত নিরাপদ

সাক্ষাৎকার

ইসলামী ব্যাংকে গ্রাহকের আমানত নিরাপদ
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা

এক কোটি ৯০ লাখ গ্রাহক নিয়ে ২০২৩ সালে ৪০ বছর উদযাপন করবে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। এটি দেশের বেসরকারি খাতের বৃহৎ ব্যাংক। সুদমুক্ত ও কল্যাণমূলক ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকদের কাছে আস্থার নাম ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংকের এমডি ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ব্যাংকের সার্বিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন কালের কণ্ঠ’র সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসুদ রুমী।

কালের কণ্ঠ : আপনার ব্যাংকের প্রধান সূচকগুলোর অবস্থা এখন কেমন?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা : সব সূচকে ইসলামী ব্যাংক শক্তিশালী অবস্থানে আছে। এই ব্যাংকের ফুটপ্রিন্ট অনেক মজবুত। ইসলামী ব্যাংকের শাখার সংখ্যা ৩৯৩টি। উপশাখা আছে দুই হাজার ৩০টি।

আমাদের এজেন্ট আউটলেট আছে প্রায় দুই হাজার ৭০০। এটিমএ-সিআরএম বুথ আছে দুই হাজার ৫০০টি। সব মিলে ছয় হাজার আউটলেট থেকে সারা দেশের গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছি kalerkanthoআমরা। আমাদের এক কোটি ৯০ লাখ গ্রাহক আছে। তাঁদের পরিবারের সদস্য সংখ্যা যদি হিসাব করি, তাহলে প্রায় আট কোটি মানুষ ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। দেশে পরিচালিত ৬১টি ব্যাংককে পরিমাপ করতে যেসব সূচক ব্যবহার করা হয়, যেমন—ব্যাংকের ডিপোজিট, ব্যাংকের বিনিয়োগ, রপ্তানি, রেমিট্যান্স, পরিচালন লাভ, খেলাপি ঋণসহ সব সূচকে ইসলামী ব্যাংক শীর্ষস্থানে আছে।

কালের কণ্ঠ : অন্য ব্যাংকগুলোও এখন ইসলামী ব্যাংকিংয়ে ঝুঁকছে? এখন আপনাদের মার্কেট শেয়ার কত?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা : কল্যাণমুখী ব্যাংকিংয়ের কারণে সবাই এখন ইসলামী ব্যাংকিংয়ের দিকে ঝুঁকছে। ইসলামী ব্যাংকিং সুপিরিয়র সিস্টেম হওয়ার কারণে পরবর্তী সময়ে ইসলামী ব্যাংককে অনুসরণ করে আরো ১০টি ব্যাংক পূর্ণাঙ্গ ইসলামী ধারায় পরিচালিত হচ্ছে। আরো কিছু ব্যাংক ইসলামী ধারায় পরিবর্তনের জন্য আবেদন করেছে। দেশের বাইরে যে এক কোটির বেশি প্রবাসী আছেন, তাঁদের প্রতি ১০ জনে আটজনের অ্যাকাউন্ট ইসলামী ব্যাংকে। ডিপোজিটে ১০ শতাংশ এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের মার্কেট শেয়ার ১৩ শতাংশ। এ ছাড়া প্রায় ৩০ শতাংশ মার্কেট শেয়ার নিয়ে রেমিট্যান্স আহরণে শীর্ষে আছে ইসলামী ব্যাংক।

কালের কণ্ঠ : ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ ক্রমাগত বাড়ছে। সেখানে আপনাদের অবস্থা কোথায়?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা : আমরা রেমিট্যান্স, রপ্তানি বিনিয়োগ সব সূচকেই ভালো করছি। আমরা যেহেতু নগদ ঋণ দেই না। তার পরও বাজারমূল্যের পরিবর্তনের কারণে কিছুটা ঝুঁকি থাকে ঋণে। গত বছর আমাদের ক্লাসিফায়েড বিনিয়োগ ৩.৫০ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ৩.৩৪ শতাংশে আছে। আমরা আগামী বছরের মধ্যে এটাকে ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে কাজ করছি।

কালের কণ্ঠ : বিদেশি মালিকানার শেয়ার কি আগের মতো আছে? না কমেছে?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা : বিভিন্ন সময়ে আমাদের ব্যাংকে কিছু পরিবর্তন হয়েছে। আমরা ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করেছি। পরিবর্তনও কিন্তু সর্বজনীন একটি বিষয়। কারণ আমরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কম্পানি। আমাদের ব্যাংকের শুরুতে ৭২ শতাংশ বিদেশি শেয়ারহোল্ডার ছিলেন, এখন সেটা ৪৩ শতাংশ। আমাদের বিদেশি শেয়ারহোল্ডাররা চলে যাননি। ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পৃথিবীর যেকোনো দেশে কেউ ইসলামী আর্থিক সেবা প্রদানের উদ্যোগ নিলে সেখানে সহযোগিতা করে, বিনিয়োগ করে। সেই সাপোর্ট ওনারা (ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) আমাদের দিয়েছে ১৯৮৩ সালে। ইসলামী ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের একজনসহ মোট তিনজন বিদেশি প্রতিনিধি আছেন আমাদের বোর্ডে। তাঁরা এখন সুদানে একটি ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার জন্য আমাদের কিছু শেয়ার উঠিয়ে নিয়েছেন। আবার বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদেরও সক্ষমতা বেড়েছে। তাই বাংলাদেশের মানুষ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার কিনেছেন।

আমাদের একজন স্পন্সর শেয়ারহোল্ডারের প্রধান ব্যবসা ছিল গার্মেন্ট। তিনি গার্মেন্ট ব্যবসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। আমাদের জানিয়েই তিনি শেয়ার বিক্রি করেছেন, ডিক্লারেশনসহ। তিনি বলেছেন, আমার ব্যবসা একটু ভালো হলে, ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার আবার কিনে নেব। আমাদের শেয়ার কেউ সাধারণত বিক্রি করেন না।

২০১৭ সালে যখন আমাদের মালিকানায় পরিবর্তন আসে, তখন আমাদের আমানত ছিল ৫৮ হাজার কোটি টাকার মতো। আজকে, ২০২২-এ এসে পাঁচ বছরের মধ্যে আমরা আমাদের বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করেছি এক লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকায়। আমরা ৩৮ বছরে আমানত নিয়ে গেছি ৫৮ হাজার কোটি টাকায়। পরিবর্তনের পরে গত পাঁচ বছরে সেটা দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকায়।

কালের কণ্ঠ : সম্প্রতি গণমাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে কিছু খবর এসেছে। এ সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা : ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে সারাবিশ্ব স্তব্ধ হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে ঋণ সুবিধা দেওয়ায় ব্যবসায়ীরা আস্থা, সাহস ফিরে পেয়েছেন। অনেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশ আমদানিনির্ভর দেশ হওয়ায় জ্বালানি, ভোজ্য তেল, খাদ্যদ্রব্যসহ বিভিন্ন ভোগ্য পণ্য আমদানি করতে হয়।

যেসব দেশ থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে, ওই সময়ে কভিডের কারণে দেশগুলোর ব্যাবসায়িক কর্মকাণ্ড কার্যত বন্ধ ছিল। অনেকে প্রয়োজনমতো আমদানি করতে পারেনি। চলতি বছরের শুরুতে এসব দেশ আবার আমদানি বাণিজ্য পুরোদমে উন্মুক্ত করেছে। দেশের খাদ্য নিরাপত্তার জন্য আমদানি হওয়া সারের ৮০ শতাংশ ঋণপত্র (এলসি) একাই ইসলামী ব্যাংক খুলেছে। দুই মাস দেশে চিনির সমস্যা হয়েছিল। সেই সময় আমাদের বলা হয়েছিল এলসি খুলতে। আমাদের বলা হয়েছে, ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বড় ব্যাংক, সামর্থ্য আছে। আমরা দায়িত্বের জায়গা থেকে এলসি খুলেছি। ওই সময়ে যদি ব্যাংকাররা দায়িত্ব পালন না করত তাহলে হয়তো ক্রেতার পকেটে অর্থ থাকলেও বাজারে পণ্য পাওয়া যেত না। এখন চিনি ১০০ টাকার কাছাকাছি দামে পাওয়া গেলেও সেটা হয়তো ৫০০ টাকায় কিনতে হতো।

আমাদের যারা পরীক্ষিত ক্লায়েন্ট-ইম্পোর্টার আছে, তাদের মাধ্যমে আমদানি করেছি। এরপর পণ্যগুলো সারা দেশে পৌঁছানোর কাজটি করে থাকে হোলসেলার ও রিটেইলাররা। তাদের ডিস্ট্রিবিউশনের নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কিছু বিনিয়োগও আমরা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন ফলো করে এক বছরের জন্য বিনিয়োগ করেছি। তাই ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।

কালের কণ্ঠ : গ্রাহকের কাছ থেকে ঋণের টাকা কবে নাগাদ ফেরত পাবেন বলে আশা করছেন?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা : ইসলামী ব্যাংকের ম্যাকানিজমে কাউকে ক্যাশ টাকা দেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা আমদানিকারকদের টাকা দিয়েছি, তাঁরা যাঁরা ডিস্ট্রিবিউট করেন, রিটেইলার আছেন, হোলসেলার আছেন, তাঁদের কাছে মালপত্র দিয়েছে। তাঁরা মালপত্র সরবরাহ করেছেন। এখন সেই সরবরাহ করা মালপত্র বাজারে বিক্রি হচ্ছে; আস্তে আস্তে আমাদের টাকাগুলো ফিরে আসবে। এটা আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছি, ব্যাংকিং যে নিয়ম-কানুন, যেটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে ফলো করে আসছি। সেই নিয়ম-কানুন মেনেই ওই বিনিয়োগগুলো করা হয়েছে।

বিনিয়োগ করেই আমাদের কাজ শেষ করি না। আমরা সার্বক্ষণিক মনিটর করি। গতিবিধি লক্ষ করি, মালপত্র কোনদিকে যাচ্ছে, প্রতিদিনের লেনদেনের আমাদের কাছে রিপোর্ট থাকে। মালপত্র বিক্রি হওয়ার পর টাকাগুলো ব্যাংকে আনার ক্ষেত্রেও আমাদের নেটওয়ার্ক কাজ করে। এক বছরের মধ্যে যখন মালপত্র বিক্রি হবে, ব্যাংকের টাকা ফেরত দিতে গ্রাহক বাধ্য থাকবে এবং দিয়ে দেবে। আমি খুবই আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলছি, মালপত্র বিক্রি হওয়ার পর টাকা ফিরে আসবে।

এ জন্য আমরা মনে করি, যেসব অভিযোগ ইসলামী ব্যাংক সম্পর্কে করা হচ্ছে, তা অতিরঞ্জিত। কোনো কোনোটা তো একেবারে মিথ্যা। বলা হয়েছে, আমরা এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড দিয়েছি। কিন্তু বাস্তবে কোনো গ্রেস পিরিয়ড দেওয়ার সুযোগ নেই। সত্য যেটা, সেটা হলো নভেম্বর মাসে ঋণ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নভেম্বর নয়, আমরা সব সময় বিনিয়োগ করি। নভেম্বর এসে ডিস্ট্রিবিউশনের যে কাজগুলো সেগুলো করতে হয়। আমদানির পর নভেম্বর মাসে এই বিনিয়োগগুলো করা হয়েছে। সত্যটা হলো নভেম্বর মাসে এসে অনেক নন-ফান্ডেড বিল ফান্ডেড হয়েছে।

করোনার আগে ২০১৯ সালে ইসলামী ব্যাংক ১৫ হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। ২০১৯ সালে যে আইটেমটার দাম ১০০ টাকা ছিল, এখন সেটা ডলার উচ্চমূল্যের কারণে তিন থেকে চার গুণ বেড়েছে। আমরা সেই হিসাবে ২০১৯ সালে যদি ১৫ হাজার কোটি টাকায় করি, ২০২২ সালে সেই ব্যবসা করতে ৪৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হওয়ার কথা ছিল। আমাদের বিনিয়োগ হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। আমি তো সেই জায়গায় ৪৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে পারিনি।

কালের কণ্ঠ : ইসলামী ব্যাংক কোনো বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দিয়েছে কি?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা : কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরামর্শ অনুযায়ী সিআইবি করে প্রতিটি ঋণ দেওয়া হয়। বিভিন্ন এলাকায় হোলসেলার আছেন, যাঁরা প্রপাইটারশিপ লাইসেন্সে ব্যবসা করেন। তাঁরা কোটি কোটি টাকা ব্যবসা করলেও ঋণ দেওয়া ব্যাংকের জন্য সহজ নয়। সম্প্রতি আমাদের এমন একজন গ্রাহক তাঁর ছেলের নামে লিমিটেড কম্পানি করে ঋণ পেয়েছেন, যাঁর সঙ্গে আমাদের কয়েক দশকের ব্যবসা রয়েছে। আমরা কাউকে নগদ টাকা দিই না। আমরা মালপত্রে বিনিয়োগ করে ব্যবসা করি। বিনিয়োগের সময় ট্রাস্ট রিসিপ্ট নামে একটা কাগজের মাধ্যমে চুক্তি হয়।

কালের কণ্ঠ : আপনি কি নাবিল গ্রুপসহ তাদের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের কথা বলছেন?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা : প্রায় ২০ বছর আগে ইসলামী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে ব্যবসা শুরু করে দেশের বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে নাবিল গ্রুপ। বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় অটো রাইস মিলসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে তাদের। এই গ্রুপে আমাদের বিনিয়োগ প্রায় তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সব নীতি মেনে আমরা ঋণ দিয়েছি। এই গ্রাহকের লেনদেন ভালো, ২০ বছরে কোনো অভিযোগ আসেনি। কয়েক বছর ধরে তারা ট্রেডিং ব্যবসায় এসেছে, যা শিমুল এন্টারপ্রাইজের নামে পরিচালিত হচ্ছে। শিল্পের কাঁচামাল আমদানির পাশাপাশি লোকাল ট্রেডও করে প্রতিষ্ঠানটি। আমরা তাদের কিছু পরিবেশককে ঋণ দিয়েছি, যেগুলোকে বলা হচ্ছে বেনামি। তাদের এই বিনিয়োগগুলো সব নীতি মেনেই করা হয়েছে। আমাদের কাছে তাদের ফিক্সড ডিপোজিট আছে। আমরা শতভাগ নিরাপদ আছি। এই ঋণগুলো আগামী ছয়-সাত মাসের মধ্যে নিয়মিত হয়ে যাবে।

কালের কণ্ঠ : এ অবস্থায় গ্রাহকের আস্থা বাড়াতে আপনারা কী করেছেন?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা : বাংলাদেশে ব্যাংকের দৃষ্টিতে সবচেয়ে কমপ্লায়েন্ট ব্যাংকের শীর্ষে আছে ইসলামী ব্যাংক। সবচেয়ে টেকসই ব্যাংকের কথা যদি বলা হয়, সেটাও ইসলামী ব্যাংক। শীর্ষস্থানীয় টেকসই ব্যাংকও ইসলামী ব্যাংক। অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়ে কয়েকজন গ্রাহক টাকা উঠিয়েছেন। তাঁরা ভুল বুঝতে পেরে আবার টাকা জমাও করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকও বলেছে, ইসলামী ব্যাংকের বিনিয়োগ নিরাপদ আছে। এর চেয়ে বড় স্বস্তির জায়গা আর হতে পারে না। আমাদের গ্রাহকরা সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কালের কণ্ঠ : আপনাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা : বাংলাদেশের একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে এই ব্যাংকই প্রথম ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসে, যারা সুদসংক্রান্ত ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্যাংকিং এড়িয়ে চলত। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দ্য ব্যাংকার ম্যাগাজিনের জরিপে বিশ্বসেরা এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে টানা ১০ বছর ধরে স্থান পেয়ে আসছে ইসলামী ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আন্তর্জাতিক কাউন্সিল সিবাফি ইসলামী ব্যাংককে ২০১৯ সালে ‘ওয়ার্ল্ডস বেস্ট ইসলামিক ব্যাংক’ হিসেবে পুরস্কৃত করে। আমরা বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় এক হাজার ব্যাংকের মধ্যে ৮৮২তম অবস্থানে আছি। আমরা এই অবস্থানকে আরো এগিয়ে নিতে চাই। সেরা ১০০ ব্যাংকের মধ্যে প্রবেশ করার স্বপ্ন আমাদের আছে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছেন এই ব্যাংকের প্রত্যেক কর্মী।