রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জুরাছড়ি প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৪:৩৭, ৫ মে ২০২২

​​​​​​​জুরাছড়িতে ঈদের আগেই পেল বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি ভাতা

​​​​​​​জুরাছড়িতে ঈদের আগেই পেল বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি ভাতা
ফাইল ছবি

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলার সালমা খাতুন ৬৯ বছর। স্বামী ৬/৭ বছর আগে মারা গেছে। ছেলে মেয়েরা যে যার সংসার নিয়ে ব্যস্ত- তার খোঁজ খবর কেউ রাখেনা। ঈদে সেমাই কেনার টাকা পয়সা নেই-হতাশ হয়ে পরে। ঠিক ঈদের ২-৩ দিন আগে মোবাইলে বিকাশে বিধবা ভাতা পায়। সে ভাতা গুলো পেয়ে অনেক খুশি। সরকার এমন উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দীর্ঘ আয়ু হায়াদদানের আল্লাহ কাছে দোয়া করেন।

জুরাছড়ি উপজেলায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার ১শ’ ৫৫ জন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদের আগেই মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (বিকাশ) মাধ্যমে ভাতা পৌঁছে দিয়েছে সরকার। চারটি বৃহৎ কর্মসূচির (বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি) আওতায় এই ভাতা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতর।

শুধু সালমা খাতুন নয়, ৭০/৮০ বয়সী মোঃ আল্পাব মিয়া, মোঃ মোজাহের বলেন, বয়োবৃদ্ধ হয়েছি, রোজকারও করতে পারিনা, রমজান ঈদে নাতি, নাতনিদের সালামি দেওয়া নিয়ে হতাশ ছিলাম-রোজার ২৫ দিনে আমার বিকাশে বয়স্ক ভাতার মেসেজ দেখে, সুখর আলহামদুলিল্লাহ। ঈদে নাতি, নাতনিদের সালামি দিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।

শুধুই মুসল্লীরা নয়, মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসে ভাতা পেয়ে খুশি পাহাড়ীরাও।

জুরাছড়ি উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা বজলুল করিম জানান, সমাজসেবা অধিদফতর সামাজিক নিরাপত্তার চারটি বৃহৎ কর্মসূচির আওতায় ৩ হাজার ১শ’ ৫৫ জন দরিদ্র মানুষ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে ভাতা পেয়ে আসছে। যা এতদিন ভাতাভোগীরা ব্যাংকের মাধ্যমে পেয়ে আসছিল। ভাতাভোগীদের মধ্যে রয়েছেন ১৩৮৪ বয়স্ক, ১২১১ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী এবং ৫৩৭ প্রতিবন্ধী। এছাড়া ২৩ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। ঈদের আগে উপজেলার ভাতাভোগী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে মোবাইলে ভাতা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। জিটুপি পদ্ধতি বাস্তবায়নের ফলে এখন থেকে উপকারভোগীরা নির্বিঘ্নে ঘরে বসেই ভাতার টাকা নিজেদের বিকাশ হিসাবে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। 

সরকারের এটি বড় সাফল্য উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে ১৯৯৭-৯৮ অর্থ বছরে বয়স্ক ভাতা ও ১৯৯৮-৯৯ অর্থ বছরে বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা প্রদান কর্মসূচি চালু হয়। বর্তমানে শতভাগ প্রতিবন্ধীকে ভাতা ও শিক্ষা উপবৃত্তির আওতায় আনা হয়েছে। সরকার পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বয়স্ক ব্যক্তি এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলাকে ভাতার আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে ২০২১-২২ অর্থবছরে আরও দেড় শতাধিক উপজেলাকে শতভাগ ভাতার আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অসহায় দরিদ্র মানুষকে মোবাইলের মাধ্যমে শতভাগ ভাতা দেওয়া সরকারের একটি বড় সাফল্য।
 

সম্পর্কিত বিষয়: