রাঙামাটি । শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জুরাছড়ি প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১২:০৭, ২৩ মে ২০২২

জুরাছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ ও আসবাবপত্রের তীব্র সংকট

জুরাছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ ও আসবাবপত্রের তীব্র সংকট

জুরাছড়ি উপজেলার পানছড়ি ভুবন সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ ও আসবাসপত্র সংকটে ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয়টি উপজেলা প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত হলেও কারো নজরে পড়ছে না বলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অভিভাবকদের ক্ষোভ। শ্রেণিকক্ষ সংকটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়ের তিনটি ভবন রয়েছে। তার মধ্যে রবিন্দ্র নাথ ভবনে তিনটি কক্ষ রয়েছে। একটিতে অফিস রুম, একটিতে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম, একটিতে চতুর্থ শ্রেণি ক্লাস রুম। রোকেয়া ভবন একটি টিন সেড একটি কক্ষ ক্লাস রুম রয়েছে। জসিমউদদীন ভবনে দু'টি রুম পরিতাক্ত একটিতে শিশুশ্রেণি পাঠ দান করা হয়।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শিশু শ্রেণিতে ১৪ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৩০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৪২ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৪৭ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ৪৪ ও পঞ্চম শ্রেণিতে ৩৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। প্রতিটি ক্লাস রুমে গাদাগাদি করে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। প্রধান শিক্ষকের নেই আলাদা কক্ষ। ৯ জন শিক্ষক ও বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী নিয়ে একটি কক্ষে কোন রকমে অফিস চালাচ্ছে।  বিদ্যালয়ের সামনে নিলামের মালামাল স্তুপ করে রাখা হয়েছে। অনেক বার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তাগিদ দেওয়া হলেও এসব মালামাল সরিয়ে নেওয়ার কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) এর দু তলা ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণ করছে এলজিইডি। গেল বছর কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কাজের ধীর গতির কারণে অসমাপ্ত রুমে ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস শুরু করেছে শিক্ষকরা। দ্রুত ভবনের কাজ শেষ করতে সংশ্লিষ্ট্য কতৃপক্ষকে দৃষ্টি আর্কষণের অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।

পানছড়ি ভুবন জয় সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিত্যা নন্দ চাকমা বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক কর্মচারী সংকট না থাকলেও শ্রেণি কক্ষের তীব্র সংকট রয়েছে। সংকট রয়েছে আসবাবপত্রের। নতুন ভবনটি হস্তান্তর হলে কিছুটা হলেও সংকট দূর হবে।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য সুমন্ত চাকমা বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির শুধু মাত্র কাগজে কলমে সীমাবদ্ধতার কারণে এ সংকট দেখা দিচ্ছে। বিদ্যালয়ে শ্রেনীকক্ষ সংকট ও আসবাবপত্র সংকট প্রধান সমস্যা। তাছাড়া সীমানা প্রাচীর, হলরুম, লাইব্রেরী রুম বরাদ্দ থাকার কথা থাকলেও এখানে তা নেই।

সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা জানান, এ বিদ্যালয়ের পড়ালেখার মানও ভালো, তবে বিদ্যালয়ে নানা সমস্যা বিরাজ করছে তা সমাধানে কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান বলেন, গুনগতমান নিশ্চিত করে দ্রুত ভবনের কাজ সম্পাদনের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা বলেন, গুনগত শিক্ষার মান নিশ্চিত করতে মানসম্মত ক্লাস রুম জরুরি। শ্রেণিকক্ষ সংকট দূর করতে চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচির (পিইডিপি-৪) আওয়াতায় একটি ভবন নির্মাণ চলমান রয়েছে। ভবনটি দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করতে এলজিইডিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সম্পর্কিত বিষয়: