রাঙামাটি । বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ , ১১ বৈশাখ ১৪৩১

লাইফস্টাইল ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১১:২৩, ১৩ মার্চ ২০২৩

এসি বিস্ফোরণ কেন হয়? রোধে যা করণীয়

এসি বিস্ফোরণ কেন হয়? রোধে যা করণীয়
​​​​​​​ছবি: সংগৃহীত

‘বর্তমানে ঢাকা শহরের ভবনগুলো যেন ‘টাইম বোমায়’ রূপান্তরিত হয়েছে।’ গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ভবন বিস্ফোরণের তীব্রতা ও হতাহতে বিস্মিত অনেক বিশ্লেষক এমন মন্তব্য করেন। সিদ্দিক বাজার ছাড়াও গত কয়েকদিনে ঢাকায় বেশ কিছু বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে গ্যাস সিলিন্ডার অথবা সঞ্চালন লাইনে ছিদ্র থাকার কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি এয়ার কন্ডিশনার বা এসি বিস্ফোরণের ঘটনাও বেড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালে দীর্ঘদিন এয়ার কন্ডিশনার (এসি) বন্ধ থাকে। সেই সময় ডাস্ট পড়ে, লিকেজ হয়। গরম পড়তে শুরু করলে হঠাৎ এসি চালু করলে ডাস্টসহ বিভিন্ন কারণে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। যেকোনো সময় সেটি বিস্ফোরণ হতে পারে।

তবে সতর্কতামূলক কিছু ব্যবস্থা নিলে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো যেতে পারে। তার আগে জানতে হবে, কী কারণে এসি বিস্ফোরণ হয়।

বিস্ফোরণের কারণ

১. এসির পাওয়ার কেবল সঠিক স্পেক–এর ব্যবহার না করলে।

২. বাতাসকে শীতল করার জন্য এসিতে উচ্চ চাপে রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস ব্যবহার করা হয়। যদি রেফ্রিজারেন্টে লিক হয়, তবে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

৩. এসির কনডেনসারে ময়লা থাকলে কম্প্রেসারে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

৪. কম্প্রেসরের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করলে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

৫. কম্প্রেসারে প্রয়োজনীয় পরিমাণ রেফ্রিজারেন্ট না থাকলে ভেতরের তাপমাত্রা লিমিটের চেয়ে বেড়ে গিয়ে।

৬. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম না করলে।

৭. কম্প্রেসারে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করলে কম্প্রেসারে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে।

৮. সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার না করলে।

৯. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ হলে এসির ভেতরে হাই প্রেশার তৈরি হয়ে কম্প্রেসর ব্লাস্ট হতে পারে।

১০. কিছু এসি দীর্ঘ সময় চালালে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিগুলো অতিরিক্ত গরম হতে পারে, যার ফলে বিস্ফোরণও ঘটতে পারে।

এসি বিস্ফোরণ রোধে করণীয়

১. ভালোমানের এবং সঠিক স্পেকের পাওয়ার কেবল ব্যবহার করা।

২. এসির কনডেনসার নিয়মিত পরিষ্কার রাখা।

৩. কম্প্রেসারে হাই টেম্পারেচার ও হাই প্রেশার পরীক্ষা করা।

৪. এসির ভেতরের পাইপের কোথাও ব্লকেজ আছে কি না, তা পরীক্ষা করা।

৫. কম্প্রেসারে প্রয়োজনীয় রেফ্রিজারেন্ট আছে কি না, তা অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত কোম্পানির টেকনিশিয়ান দিয়ে পরীক্ষা করা।

৬. কম্প্রেসরের লিমিটের চেয়ে বেশি রেফ্রিজারেন্ট চার্জ না করা।

৭. সঠিকভাবে এসির ভ্যাকুয়াম করা।

৮. কম্প্রেসারে সঠিক পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করা।

৯. বিশ্বস্ত এবং নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ডের এসি, কম্প্রেসর এবং রেফ্রিজারেন্ট ব্যবহার করা।

১০. নিম্নমানের অখ্যাত বা নকল ব্র্যান্ডের এসি এবং কম্প্রেসর কেনা এবং ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।

১১. সঠিক রেটিংয়ের সার্কিট ব্রেকার ব্যবহার করা।উপরিউক্ত কারণের পাশাপাশি আরও বিভিন্ন কারণে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই সচেতন হোন, সাবধান হোন।

জনপ্রিয়