রাঙামাটি । শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

নিউজ ডেস্কঃ-

প্রকাশিত: ১০:১৫, ১৭ আগস্ট ২০২১

যৌবনে ফিরেছে শুভলং ঝর্ণা

যৌবনে ফিরেছে শুভলং ঝর্ণা

ভ্রমণ ডেস্কঃ- নৈসর্গিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি রাঙামাটি পার্বত্য জেলা। শুষ্ক মৌসুমে এ জেলায় একটু খরা দেখা দিলেও আবার বর্ষায় তা পরিপূর্ণ হয়। বর্ষা এলে যেন প্রকৃতি নিজেকে মেলে ধরতে শুরু করে। প্রবল জলধারা আছড়ে পড়ে পাহাড়ের বুক চিরে।

শুষ্ক মৌসুমে ঝর্ণার জলধারা শুকিয়ে গেলেও বর্ষায় পুরোনো যৌবন ফিরে পেয়েছে রাঙামাটির ছোট-বড় অসংখ্য ঝর্ণা। এরমধ্যে অন্যতম জেলার বরকল উপজেলার শুভলং ঝর্ণাটি। প্রাকৃতিক নৈসর্গিক সৌন্দর্যের নয়নাভিরাম এক বিস্ময়কর এই ঝর্ণাটি খুবই দৃশ্যমান। যা দেখে মানুষের হৃদয়ে-মনে শিহরণ সৃষ্টি করে, পর্যটকদের কাছে টানে। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। বর্ষায় ঝর্ণা পুরোনো যৌবন ফিরলেও করোনা মহামারির কারণে নেই পর্যটক।

জানা গেছে, রাঙামাটি সদর হতে শুভলং ঝর্ণার দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব নৈসর্গিক সৃষ্টি রাঙামাটির শুভলং ঝর্ণাটি। পাহাড়ের বুক চিরে প্রায় ৩০০ ফুট উঁচু থেকে অবিরাম প্রবল জলধারা আছড়ে পড়ছে। নিমিষেই মিশে যাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদের বুকে। যেন গুঁড়ি গুঁড়ি জলকনা আকাশের দিকে উড়ে গিয়ে তৈরি হচ্ছে কুয়াশার আভা। স্রোতধারার শীতল কলতানে নিক্কন ধ্বনির উচ্ছ্বাস ছড়িয়েছে চারপাশ। যেন সবুজ অরণ্যের প্রাণের ছোঁয়ার পরশ একেছে কেউ।

শুভলং ঘুরতে আসা শাহিন বলেন, বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টির কারণে ঝর্ণায় এখন অনেক পানি। ঝর্ণা থেকে পানি সোজা লেকে গড়িয়ে পড়ে। অনেকদিন পর ঘুরতে এসে খুবই ভালো লাগছে।

রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্সের নৌযান ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. রমজান আলী জানান, বর্তমানে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সেই অপরূপ দৃশ্য বজায় রয়েছে। আশাকরি, আগামী ১৯ আগস্ট পর্যটন কেন্দ্র খুললে বোট ভাড়াও হবে এবং ব্যবসাও চাঙ্গা হবে।

রাঙামাটির শুভলং ঝর্ণার টিকেট বিক্রেতা রিন্টু চাকমা জানান, ১১ আগস্ট থেকে লকডাউন কিছুটা শিথিলের পর ঝর্ণায় মানুষের উপস্থিতি কিছুটা বেড়েছে। আগতদের মধ্যে স্থানীয় পর্যটক বেশী। ১৯ আগস্ট থেকে সরকারীভাবে পর্যটন কেন্দ্র খুলে দিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আরো বেশী পর্যটক বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়