দীর্ঘ আড়াই মাস পর জুরাছড়িতে নৌযান চলাচল শুরু

জুরাছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ- শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমে যাওয়া ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে এবং লকডাউনের কারণে দীর্ঘ আড়াই মাস রাঙামাটির সঙ্গে জুরাছড়ি উপজেলার লঞ্চ চলাচল বন্ধ ছিল। কিছুদিন ধরে বর্ষায় হ্রদের পানি বেড়ে যাওয়া এবং লকডাউন শিথিল করায় আবারও লঞ্চ, স্পীড বোট চলাচল শুরু হয়েছে।

উপজেলার ব্যবসায়ী মোদন মোহন নাথ, মোঃ কবির, শান্ত চাকমা বলেন, ‘লকডাউনে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার কারণে মালামাল আনতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হয়েছে। এখন লঞ্চ চলাচল শুরু হওয়ায় অনেক উপকার হয়েছে’। 

কৃষি কর্মকর্তা সুম্মিতা চাকমা বলেন, লকডাউনে নিয়মিত নৌ পরিবহন বন্ধ থাকায় রাঙামাটি থেকে যাতায়াতে অনেক কষ্ট ও ভোগান্তিতে পড়তে হতো। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অনন্যা চাকমা জানান, নিয়মিত বোট না থাকায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য ঔষধ ও মালামাল পরিবহনে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের কারণে বৃষ্টি হওয়ায় হ্রদের পানি কিছুটা বেড়েছে। 

রাঙামাটির লঞ্চ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থার রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন সেলিম লঞ্চ চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা লঞ্চ চালু করেছি। কাপ্তাই হ্রদে এখন যে পানি আছে, তা নৌ চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত নয় এবং যাত্রী কম হওয়ায় আমরা প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে ২০ টাকা করে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি, শিগগিরই লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হলে পুরনো ভাড়াই বহাল থাকবে।’ যাত্রীদের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, ‘গত আড়াই মাস ধরে যাত্রীরা কষ্ট করেছেন, লঞ্চ শ্রমিকরাও বেকার ছিল। এখন আশার আলো দেখা যাচ্ছে।’

এদিকে, দ্রুত নৌ সার্ভিস স্পীড বোট মালিক সমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রিটম চাকমা বলেন, সম্পূর্ন স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে স্বল্প সময়ে যাত্রীদের  গন্তব্য পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাতায়াতেএবং যাত্রীদের থেকে যেন অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা না হয় সেদিকে প্রশাসন বিশেষ নজর রাখছে ।