রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রেকিং

পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব : কাপ্তাইয়ে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাপার্বত্যাঞ্চলের পরিস্থিতি অবনতি ঘটলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে : বীর বাহাদুর ঊশৈসিং এমপিসাজেকে নিহত ৯ জনের ময়নাতদন্ত শেষে হস্তান্তর, আহত ২ শ্রমিককে ঢাকায় প্রেরণকাপ্তাই হ্রদে ৩ মাসের জন্য মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা শুরুকেএনএফ প্রধান নাথান বমের স্ত্রী ‘নিখোঁজ’সাজেকে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯, পরিচয় মিলেছে ২ জনের!তীব্র তাপদাহ: জনগণকে সচেতন করতে প্রচারণায় নেমেছে রাঙামাটি স্বাস্থ্য বিভাগকাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫ ইউনিটের ৪টিই বন্ধ, উৎপাদন কমে ৩০ মেগাওয়াট

কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১

কাপ্তাই অবতরণ কেন্দ্রে ১৫ দিনে রাজস্ব আদায় ৭৫ লাখ টাকা

কাপ্তাই অবতরণ কেন্দ্রে ১৫ দিনে রাজস্ব আদায় ৭৫ লাখ টাকা
কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে জেলেদের ব্যস্ততা। গত মঙ্গলবার তোলা ছবি

মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাইঃ- ব্যবসায়ীদের পদচারনায় সরব হয়ে উঠেছে কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের জেটিঘাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। প্রতিদিন এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাপ্তাই হ্রদের মাছ নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। ফলে সরকার প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা রাজস্ব পাচ্ছে বলে জানান, এই কেন্দ্রের মার্কেটিং সহকারী আব্দুল সালাম সরকার।

গত বুধবার আলাপকালে কাপ্তাই উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মোস্তাক আহমেদ বলেন, নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার পর গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হয়। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবধি সরব থাকে এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। লংগদু উপজেলার মাইনি মুখ ও কাট্রলি বিল, বরকলের সুভলং, বিলাইছড়ি উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জেলেরা মাছ ধরে ইঞ্জিন চালিত বোটে করে এই জেটিঘাটে নিয়ে আসে। এখান থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মৎস্য বেপারীরা মাছ নিয়ে যাচ্ছে। 

মৎস্য ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন, জসিম সওদাগর ও নুরুল হক সওদাগর জানান, সাধারণত আইড় মাছ, কাঁচকি মাছ, চাপিলা মাছ, পাবদা মাছ এবং বাচা মাছ এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে জেলেরা নিয়ে আসে।

এই কেন্দ্রে গত ১৬ বছর ধরে ব্যবসা করছেন শরিয়তপুরের কালাম সওদাগর। তিনি জানালেন, প্রতিদিন তিনি এই কেন্দ্র থেকে মাছ কিনে বরফ দিয়ে ট্রাকে করে উত্তরবঙ্গে পাঠিয়ে থাকেন।

কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক মোঃ মাসুদ আলম বলেন, কাপ্তাই হ্রদে ৪ মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকার পর গত ১ সেপ্টেম্বর হতে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। গত ১ তারিখ থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে জেলেরা ৪শ' মেট্রিকটনের বেশি মাছ বিক্রি করা হয়েছে, ফলে সরকার শুধু এই কেন্দ্র থেকেই প্রায় ৭৫ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে।

তিনি আরো জানান, এই মৌসুমে কাপ্তাই লেকে ছোট জাতের মাছের পাশাপাশি জেলেদের জালে বড় মাছ ধরা পড়ছে, ফলে এ বছর রাজস্ব আদায় গত বছর থেকে বেশী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়