রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লংগদু প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৭:৩২, ১৬ নভেম্বর ২০২১

‘তিনটিলা বনবিহার হচ্ছে শ্রদ্ধেয় বনভান্তের স্মৃতি বিজড়িত স্থান’

‘তিনটিলা বনবিহার হচ্ছে শ্রদ্ধেয় বনভান্তের স্মৃতি বিজড়িত স্থান’

।। লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধি ।। দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসবে নানাবিধ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্যদিয়ে রাঙামাটির লংগদু উপজেলার তিনটিলা বন বিহারে উদযাপিত হয়েছে ২৩তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানোৎসব-২১। 

গত সোমবার সন্ধ্যায় ধর্মীয় কর্মসূচী শুরু হয়ে মঙ্গলবার বিকালে শেষ হয়। মহামারি করোনার কারণে সংকিপ্ত আয়োজন এসব কর্মসূচীর মধ্যে বুদ্ধ পূজা দান, বুদ্ধ মূর্তি দান, সংঘ দান, অষ্টপরিস্কার দান, কঠিন চীবর দান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, হাজার বাতি দান, ধর্মীয় দেশনা, কল্পতরু প্রদক্ষীণ ও উৎসর্গ সহ নানাবিধ দান উল্লেখযোগ্য।

দানোৎসব কে ঘিরে কয়েক হাজার পূর্ণার্থীদের আগমন ঘটে বিহার এলাকায়। সকল প্রাণীর হিতসুখ ও মঙ্গল কামনায় এবং মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে পরিত্রানের জন্য বিশেষ প্রার্থণা করা হয়।

এ সময় মহাসাধক সাধনানন্দ মহাস্থবীর বনভান্তের স্মরণে বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।


মান্টি চাকমা ও চম্পা চাকমার অনুষ্ঠান পরিচালনায় পঞ্চশীল প্রার্থণা পাঠ করেন, লংগদু উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সোনা মিত্র চাকমা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, চীবরদান উৎযাপন কমিটির আহবায়ক রকি চাকমা।

প্রধান অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের আত্মশুদ্ধি লাভের জন্য বনভান্তের অমিয় বাণিগুলো অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।

তিনি বলেন, লংগদু তিনটিলা বনবিহার হচ্ছে পরম শ্রদ্ধেয় ভান্তের স্মৃতি বিজড়িত স্থান। এখানে অবস্থান করে তিনি সাধনা লাভ করেছিলেন। তিনটিলা বিহার থেকেই ভান্তে ধর্ম প্রচার করেছেন। তার জীবনে যা বলেছেন সেগুলো আমারা যদি সেই মোতাবেক চলতে পারি তাহলে আমরা সঠিক পথে থাকতে পারবো। বনভান্তের এই জায়গাকে সংক্ষণ করা প্রয়োজন। এর জন্য আমার পক্ষ থেকে সর্বোচ্ছ চেষ্টা করে যাব।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মাইনুল আবেদিন।

বনভান্তের অমীয় বাণী দিয়ে পূর্ণার্থীদের ধর্মীয় দেশনা দেন তিনটিলা বন বিহার অধ্যক্ষ ধর্মলোক স্থবির, কাটাছড়ি বনভাবনা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ইন্দ্র গুপ্ত মহাস্থবির, ফুরোমন আন্তর্জাতিক বনভাবনা কেন্দ্র ভান্তে বৃগুমহাস্থবির।

এ সময় লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আমিন সহ অন্যান্য ভিক্ষুগণ উপস্থিত ছিলেন।

শেষে পূর্ণাথীরা হাজার বাতি প্রজ্জ্বলন করেন এবং ফানুস বাতি উড়ান। 

আলোকিত রাঙামাটি

জনপ্রিয়