রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙামাটি (সদর) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৬:৪০, ১৫ ডিসেম্বর ২০২২

বিলাইছড়িতে সেলাই মেশিন, ক্রীড়া সামগ্রী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ

বিলাইছড়িতে সেলাই মেশিন, ক্রীড়া সামগ্রী ও শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ

হতাশা জাতি, হতাশা ব্যক্তি এবং আতঙ্কিত ব্যক্তি কোন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী। তিনি হতাশা ও আতঙ্কিত না হয়ে এলাকার উন্নয়নের জন্য সবাইকে একযোগে কাজ করার আহবান জানান।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে, বিলাইছড়ি উপজেলা মিলনায়তনে বেকার মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য সেলাই মেশিন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া সামগ্রী, সাংস্কৃতিক সরঞ্জাম ও সমাজ সেবা অধিদপ্তর কর্তৃক দুস্থ, গরীব শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

এ সময় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়া, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরোত্তম তঞ্চঙ্গ্যা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান, উপ-পরিচালক জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের রাঙামাটির মোঃ ওমর ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অভিলাষ তঞ্চঙ্গ্যা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমগীর, উপজেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ে কর্মকর্তা (অঃদা) প্রদীপ কুমার বড়ুয়া প্রমূখ।

তিনি আরো বলেন, শান্তি চুক্তি হয়েছে বলেই আজ পাহাড়ে উন্নয়নের ধারা অর্জিত হয়েছে। শান্তি চুক্তি পূর্ব পর্যন্ত তিন পার্বত্য জেলা কোন উন্নয়ন হয়নি। চুক্তি যখন হয়েছে আজ হোক কাল হোক বাস্তবায়িত হবে। চুক্তির ফলে জেলা পরিষদ, আঞ্চলিক পরিষদ, উন্নয়ন বোর্ড পেয়েছি।

তিনি উপজেলায় কলেজ স্থাপনের ভূমি ব্যবস্থা ঠিক করার জন্য জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করেন এবং বর্তমান সরকার সবসময় শিক্ষা ক্ষেত্রে অত্যন্ত আন্তরিক, তবে সবচেয়ে বেশি আন্তরিক জননেতা ও ২৯৯নং রাঙামাটি আসনের সাংসদ দীপংকর তালুকদার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। সরকার  শিক্ষার পাশাপাশি যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়নসহ প্রায় সব বিষয়ে আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, দুর্ভিক্ষ হবার কোনো সুযোগ নেই বাংলাদেশ। কারণ সরকার সোসিয়াল সেফিটিনেট বা সামাজিক নিরাপত্তা  ভিজিডি, ভিজিএফ, মাতৃকালীন ভাতা, বিধবা ও বৃদ্ধ ভাতা এবং ওএমসহসহ বিভিন্ন সুযোগ দিয়ে যাচ্ছে। ১৯৯৮ সালে প্রতি ইউনিয়নে ভিজিডি পেত ৩০ জন, বর্তমানে ৬০০ জন করে পাচ্ছে। যা না পাওয়ার সংখ্যা খুবই নগণ্য।

আলোচনা শেষে ৩টি সাউন্ড সিস্টেম, ৪৩টি সেলাই মেশিন, অসহায় ৩৩ জনের মাঝে প্রতিজন ৩৫০০ টাকা, উচ্চ শিক্ষার জন্য গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ৩৫ জনে জন প্রতি ৩৫০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে বলে জানা গেছে। 

সম্পর্কিত বিষয়: