রাঙামাটি । শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪ , ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জুরাছড়ি প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৩:৪৯, ২১ ডিসেম্বর ২০২২

জুরাছড়িতে পিঠা উৎসব ও নৈশভোজে সম্প্রীতির মিলন মেলা

জুরাছড়িতে পিঠা উৎসব ও নৈশভোজে সম্প্রীতির মিলন মেলা

রাঙামাটির জুরাছড়ি উপজেলায় সেনাবাহিনীর অদ্বিতীয় দুই জোনের উদ্যোগে পিঠা উৎসব ও নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বনযোগীছড়া জোনের মাঠে  পিঠা উৎসবে সেনা ও উপজেলা পরিষদের সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, হেডম্যানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে তৈরী হয় সম্প্রীতির মিলন মেলা।

বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে অতিথি আগম শুরু হয়। অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছেন সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তারা। সন্ধ্যা ৫টায় মাঠের দু’পাশে সাজানো হয়ে বিভিন্ন পিঠা। আগত অতিথিরা সেখান থেকে এক এক করে পিঠার স্বাদ নিচ্ছে। পিঠা খেতে শুরু হয় আড্ডা, উৎসবে মাতাল উপস্থিত সকল কর্মকর্তারা। সেনা কর্মকর্তাদের মাঝে নেই কোন গাভীর্য, সবার সাথে কৌশল বিনিময়, আড্ডায় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতোই।

উৎসবে অংশগ্রহণকারী বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা ও মৈদং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা বলেন, সেনাবাহিনীর এমন অনুষ্ঠান দেখে আমরা খুবই মুগ্ধ। আগে কখনো এভাবে আয়োজন করা হয়নি।

রির্সোস সেন্টারের ইন্সট্রক্টর মোঃ মরশেদুল আলম বলেন, সেনাবাহিনীর এই পিঠা উৎসব সকল কর্মকর্তাদের মাঝে প্রাণ চাঞ্চল্য ফিরে পেয়েছে।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন ও উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান বলেন, চাকরির কর্মব্যস্ততার কারণে কত বছর না গ্রামের বাড়ীতে পিঠা খাবার সুযোগ হয়না, সেনাবাহিনীর এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রসংশনীয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীতেন্দ্র কুমার নাথ বলেন, এমন পিঠা উৎসবে সকল কর্মকর্তাদেন মাঝে এক বিশাল আনন্দ তৈরী হয়েছে। সেনাবাহিনীর এমন আয়োজনে আমরা কৃতজ্ঞতা।

রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হয় নৈশভোজ। নৈশভোজ শেষে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলকিফলী আরমান বিখ্যাত (পিএসসি) অংশগ্রহণকারীদের উদ্দেশ্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন। পরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বদলি জনিত বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জীতেন্দ্র কুমার নাথকে ক্রেশ ও শুভেচ্ছা উপহার তুলে দেন।

এছাড়া উপস্থিত সকল কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন সেনা কর্মকর্তারা।

এ সময় জোন উপ-অধিনায়ক মেজর মোঃ এহতে শামুল হক, ক্যাপ্টেন মোশারফ হোসেন সাগর, উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিউল আজম, বনযোগীছড়া হেডম্যান করুনা ময় চাকমা, ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আল্পনা চাকমা, জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা, বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা, মৈদং ইউপি চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা, দুমদুম্যা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তরুন চাকমা, বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবু সপিয়ানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধি এবং সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। 

সম্পর্কিত বিষয়: