রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ , ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাঙামাটি (সদর) প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ২ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ১৯:১৬, ২ জানুয়ারি ২০২৩

কাউখালীতে অপহৃত ইটভাটার তিন শ্রমিক উদ্ধার

রাতভর পুলিশের অভিযান

কাউখালীতে অপহৃত ইটভাটার তিন শ্রমিক উদ্ধার
ছবি:- আলোকিত রাঙ্গামাটি

রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার এমএনসি ইটভাটা থেকে অপহৃত তিন শ্রমিককে উদ্ধার করেছে কাউখালী পুলিশ। রবিবার (২ জানুয়ারি) সকালে কাউখালী থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হাটহাজারী থানাধীন চৌধুরীহাট এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে। 

গত বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে রাঙামাটির কাউখালী উপজেলার কলমপতি ইউনিয়নের তারাবুনিয়া এলাকায় অবস্থিত এমএনসি ইট ভাটার দুই শ্রমিকসহ ম্যানেজারের ছেলেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। অপহরণের পর ইটভাটার মালিক কাউখালী থানায় মামলা দায়ের করলে কাউখালী থানা পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের সূত্র ধরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার সাথে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, খাগড়াছড়ি বিনাজুরি পাড়া গ্রামের আদ্যায়ং মারমার ছেলে ক্যামং মারমা (২২) এবং বান্দরবান রোয়াজাপাড়া গ্রামের মংলু মারমার ছেলে উক্যাওয়াই মারমা (২০)। তাদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তির করে অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অপহৃতদের উদ্ধার করে। রবিবার (২ডিসেম্বর) বিকেলে রাঙামাটি পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এইসব তথ্য জানান রাঙামাটি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মারুফ আহমেদ। এই সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শাহ নেওয়াজ রাজু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ জাহেদুল ইসলাম ও কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ পারভেজ আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মারুফ আহমেদ আরো বলেন, ‘আমরা জানার পর থেকেই রাঙামাটি জেলা পুলিশের সহায়তায় কাউখালী থানা পুলিশ অপহৃতদের উদ্ধারে মাঠে নেমে পড়ে। সবার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অপহৃতদের দ্রুত উদ্ধার করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। যেই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে আমরা তাদের রিমান্ড চেয়েছি৷ ওদের কাছ থেকে আমরা আরো তথ্য নিয়ে এই অপহরণকারী দলটিকে দ্রুত গ্রেফতার করবো।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মনে করি এটি আমাদের জন্য একটি বিশেষ সাফল্য। আমরা এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করবো। 

কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ পারভেজ আলী বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর থেকেই আমরা অপহৃতদের উদ্ধারে তৎপর হয়ে উঠি। আমরা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে ওদের অবস্থানগুলো চিন্হিত করি। তারা বারবার তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছিল। সবশেষ আজ সকালে আমরা দুর্গম পাহাড়ে তাদের লাস্ট সেফ হাউসে পুলিশের বিশাল টিম নিয়ে অভিযান চালাই। আমাদের অবস্থান টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায় এবং আমরা অপহৃতদের উদ্ধার করি।’

অপহৃত তিনজন হলেন, ইটভাটার ম্যানেজারের ছেলে মোঃ জিয়াউর রহমান জিকু (২৮), শ্রমিক মোসলেম উদ্দিন (৪২), ও আহসান উল্ল্যাহ (৪৫)।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ