কাপ্তাই ইউএনও’র উদ্যোগে অবশেষে লক্ষ্মী রানী পাচ্ছে “সুখের নীড়”
বিগত ১৩ বছর ধরে কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের বারান্দায় বসবাস করা অন্ধ লক্ষ্মী রানী দে অবশেষে মাথা গোঁজার ঠাঁই "সুখের নীড়" এর দেখা পাচ্ছে। তার থাকার জন্য একটি ঘর করে দিচ্ছে ইউএনও মুনতাসির জাহান।
রাঙামাটি জেলার অনলাইন পোর্টাল "আলোকিত রাঙ্গামাটি" সহ দেশের বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইন পোর্টালে তাকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহানের দৃষ্টিগোচর হয়।
ফলে বুধবার (২৬ জানুয়ারী) দুপুরে তিনি লক্ষ্মী রানী দে'কে তার দপ্তরে নিয়ে আসেন। এ সময় ইউএনও অন্ধ লক্ষ্মী রানীকে শীতবস্ত্র প্রদান করেন এবং তার সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়। ইউএনও তাকে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতাল এলাকায় একটি ঘর করে দেবার প্রতিশ্রুতি দেয়।
এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান এবং কাপ্তাই প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান জানান, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আন্তরিক উদ্যোগে সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় থেকে আমরা শীঘ্রই এই অন্ধ মহিলাকে একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিব।
প্রসঙ্গত, স্বামী সন্তান হারা ষাটোর্ধ্ব অন্ধ লক্ষ্মী রানী বিগত ১৩ বছর ধরে চন্দ্রঘোনা খ্রীস্টিয়ান হাসপাতালের বারান্দায় বসবাস করে আসছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় লোকজন তাকে প্রতিদিন খাবার দিয়ে আসছে।