রাঙামাটি । শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাজস্থলী প্রতিনিধিঃ-

প্রকাশিত: ১৮:০৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

আপডেট: ১৮:১১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২

রাজস্থলীর শফিপুর জরাজীর্ণ মসজিদে চলছে নামাজ আদায়, যেকোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

রাজস্থলীর শফিপুর জরাজীর্ণ মসজিদে চলছে নামাজ আদায়, যেকোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা

রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড শফিপুর সদর এলাকায় জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ মসজিদে চলছে মুসল্লিদের নামাজ আদায়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিনই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে হয়। যেকোন সময় মসজিদ ভবন ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাঙ্গালহালিয়া শফিপুর এলাকায় পুনর্বাসিত জোনের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে শফিপুরে একটি বেড়ার ঘরে নামাজ আদায় হয়ে আসছিল মসজিদের কার্যক্রম। ১৯৮৩ সালে তা বর্তমান ভবণে স্থানান্তর করা হয়। মসজিদটি হিসেবে ১৯৮৩ সালে প্রায় ৪০ শতক ভূমির উপর এলাকাবাসী সার্বিক সহযোগিতায় নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণের পর থেকে তেমন কোন বেশী সরকারি বরাদ্দ পায়নি। দীর্ঘদিন ধরে মসজিদটির কোনো সংস্কার বা মেরামত না হওয়ায় ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্তমানে জরাজীর্ণ পুরো মসজিদটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মসজিদের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে, বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে দরজা-জানালা। জানালার গ্রিলে ধরেছে মরিচা। ভবনের দেয়াল বেয়ে উঠেছে গাছ। শিকড় ছড়িয়েছে মসজিদের চারদিকে।

৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আঃ কাদের হাওলাদার (৬২) বলেন, মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসলে চরম বেকায়দায় পড়তে হয়। জরাজীর্ণ পুরো মসজিদ। আগামী বর্ষার আগে মসজিদটি সংস্কার করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিকট আহবান জানান।

৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা বলেন, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুকিপূর্ণ মসজিদে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছে। প্রতিদিন ভবনের ছাদের এবং দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি ভবনের ভেতর ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজ, কোরআন শরীফ ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। মুসলিম সমাজের জন্য নতুন মসজিদ নির্মাণ করা দরকার। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শান্তনু কুমার দাশ বলেন, নতুন মসজিদ না হওয়া পুরাতন মসজিদে নামাজ আদায় করুন। নতুন মসজিদ  নির্মাণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

তাই দ্রুত মেরামতের পদক্ষেপ নিয়ে মুসল্লিদের নামাজ পড়ার একটি ঠিকানা করে দেওয়ার জন্য সরকারের নিকট দাবী জানাচ্ছেন এলাকাবাসী।

সম্পর্কিত বিষয়:

জনপ্রিয়