রাঙামাটি । মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ , ৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রকাশিত: ১৫:০৯, ১৬ আগস্ট ২০২২

জীববৈচিত্র রক্ষায় কাপ্তাইয়ে বিলুপ্ত প্রায় দেড় লাখ গাছের চারা রোপন

জীববৈচিত্র রক্ষায় কাপ্তাইয়ে বিলুপ্ত প্রায় দেড় লাখ গাছের চারা রোপন
কাপ্তাই রেঞ্জে বিলুপ্ত প্রজাতির রোপনকৃত গাছের বাগান পরিদর্শন করছে রাঙামাটি বন সংরক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ছালে মোঃ শোয়াইব খানসহ ব

রাঙামাটি পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের উদ্যোগে হারিয়ে যাওয়া বিলুপ্ত প্রজাতির গাছের বংশ বিস্তার তথা জীববৈচিত্র রক্ষায় চারা রোপন করা হচ্ছে। কাপ্তাইসহ বিভিন্ন রেঞ্জে SID-CHT প্রকল্পের আওতায় ANR ধরনের বাগান সৃজন কার্যক্রম করছে দক্ষিণ বন বিভাগ।

জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে দেশীয় প্রজাতির গাছের চারা রোপন কার্যক্রমের আওতায় বনাঞ্চলের পরিত্যক্ত, খালি জায়গা ও কাপ্তাই, কর্ণফুলী, আলী খ্রিয়ং, ফারুয়া বন রেঞ্জে এই রোপন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

তারই ধারাবাহিকতায় কাপ্তাই রেঞ্জের আওতাধীন সদর বিটসহ বিভিন্ন বিটে ২০২১-২২ অর্থ বছরে ২শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ২৫ হাজার, কর্ণফুলী রেঞ্জের ৫০ হেক্টর জমিতে ২৫ হাজার গাছের চারা রোপন করা হয়েছে।

হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন প্রজাতির দেশিও চারার মধ্যে রয়েছে- রক্তন, রসকাউ, বুদ্ধুনারিকেল, পিত্তনজালা, পিত্তরাজ, গোদা, ধারমারা, বৈলাম, উড়িজাম, গর্জন, শাল, চাপালিশ, আমলকি, হরিতকি, বহেরা, জারুল, কদম ইত্যাদি। হারিয়ে যাওয়া দেশিও প্রজাতির গাছ রোপনে জীববৈচিত্র ফিরে আসার পাশাপাশি পশুখাদ্যের অভাব দূর হবে। এরফলে বনে জীববৈচিত্র পুনরায় ফিরে আসবে।

রাঙামাটি বন সংরক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান ও দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা ছালে মোঃ শোয়াইব খান, রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার সোসাইনসহ বন কর্মকর্তাগণ কাপ্তাই রেঞ্জের রোপনকৃত গাছের বাগান পরিদর্শন এবং রোপনকৃত গাছের চারা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। বন সংরক্ষক গাছের রোপনকৃত চারা পরিষ্কার পরিছন্নতা ও পরিচর্যার বিষয়ে আরও যত্নবান হওয়ার জন্য রেঞ্জ কর্মকর্তাকে আহবান জানান।

কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহামুদুল হক মুরাদ জানান, আমরা পাহাড়ের পরিত্যক্ত খালী জায়গায় জীববৈচিত্র্য রক্ষার্থে বিলুপ্ত প্রায় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন গাছের চারা রোপন করেছি। এতে হারিয়ে যাওয়া গাছ, পশু-পাখি পুনরায় ফিরে পাব। এবং প্রাকৃতির নিকট ফিরে যেতে পারবো। বন হবে আরও সবুজ অরণ্যে ভরপুর।
 

সর্বশেষ

জনপ্রিয়